চীন থেকে আস্ত স্টেইনলেস স্টিল আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল মানিকগঞ্জের ম্যাক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কিন্তু তারা এনেছে স্টিলের তৈরি বিভিন্ন পণ্য। কাগজে-কলমে এসব পণ্যকে বলা হয় পার্টস অব হাউসহোল্ড আর্টিকেলস।
স্টেইনলেস স্টিল আমদানি হলে সরকার কাস্টমস শুল্ক কর পাবে ১৯ লাখ টাকা। একই পরিমাণ স্টিলের তৈরি পণ্যের কাস্টমস শুল্ক কর ৫৭ লাখ টাকা! মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশাল অংকের শুল্ক ফাঁকি দিতে গিয়ে কাস্টমসের আনস্টাফিং শাখার কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়ে ওই কোম্পানির পণ্যগুলো। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) চালানটি জব্দ করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস আনস্টাফিং শাখার ডেপুটি কমিশনার নূর উদ্দিন মিলন জয়নিউজকে বলেন, কাস্টমস কমিশনারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আনস্টাফিং শাখা কর্তৃক ৫ নম্বর গেইটে একটি পণ্য চালানের খালাস স্থগিত করা হয়। ম্যাক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড চীন থেকে সেকশন অব স্টেইনলেস স্টীল আনার ঘোষণা দেয় কাস্টমস হাউসকে। কিন্তু তার বিপরীতে মেলে পার্টস অব হাউসহোল্ড আর্টিকেলস। যে পরিমাণ স্টেইনলেস স্টিল আমদানির ঘোষণা করা হয়েছিল, তার কাস্টমস শুল্ক কর ১৯ লাখ টাকা। বিপরীতে তথ্য গোপন করে আনা হাউসহোল্ড আর্টিকেলসগুলোর কাস্টমস শুল্ক কর ৫৭ লাখ টাকা!
তিনি আরো বলেন, আনস্টাফিং শাখার এমন কার্যক্রমে ৬২ লাখ টাকার পণ্য আটক করতে সক্ষম হয়। যেখানে পরিহারকৃত রাজস্বের পরিমাণ ৩৭ লাখ টাকা। সরকারকে শুল্ক ফাঁকি দিতে তারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পণ্যগুলোর খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল সিএন্ডএফ এজেন্ট খাতুনগঞ্জের রানা এন্টারপ্রাইজ। সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। কায়িক পরীক্ষা শেষে ঘোষণা বহির্ভূত অতিরিক্ত পণ্য পাওয়া যায়। পণ্যগুলোর শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় ৬২ লাখ ৩২ হাজার টাকা। চালানের বি/ই নং ১৫১২১৫০। গত ১৮ অক্টোবর এ চালানটি খালাসের আবেদন জানিয়েছিল তারা। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) পণ্যগুলো আটক করা হয় এবং রোববার (২৮ অক্টোবর) এ ঘটনায় মামলা দেয়া হয়।
জয়নিউজ/অভি