বান্দরবানের গহীন অরণ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকে কেন্দ্র করে তিন উপজেলায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়িয়েছে প্রশাসন। আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করে আবারও গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
গণ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ৮ নভেম্বর ২০২২ মূলে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় সদর দপ্তর, বান্দরবান রিজিয়ন, সেনানিবাসের ১২ নভেম্বর ২০২২ তারিখের ১৪০/৩১/জিএস (ইন্ট) এর আলোকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আগামী ১৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত এতদ্বারা বর্ধিত করা হলো।
এদিকে প্রশাসন কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বার বার বৃদ্ধি করায় রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা বিপাকে পড়েছে। পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।
ট্যুরিস্ট পরিবহন মালিক সমিতির সংশ্লিষ্ট নাছিরুল আলম বলেন, রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সমিতির সাড়ে তিনশ ট্যুরিস্ট গাড়ির শ্রমিকেরা অলস সময় কাটাচ্ছে। কারণে তিনটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে বান্দরবান হোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞায় পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে। করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আগেই আবার লোকসানের মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে তিনটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে জেলা শহরের পর্যটন ব্যবসায়ও। এ কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্ট শিল্পে ধস নেমেছে পুরো বান্দরবান পার্বত্য জেলায়।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, বান্দরবানে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আগত পর্যটকদের উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা তিন উপজেলায় ভ্রমণে না আসার অনুরোধ করা হয়েছে। অচিরেই দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শেষ হলে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
জেএন/এমআর