জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৪৮ সালের এই দিনে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন জনপ্রিয় এই কথা সাহিত্যিক।
সাহিত্যজগতে তার শুরুটা ছাত্রজীবনে। সে সময় লেখা উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ পায় বিপুল জনপ্রিয়তা। এরপর কেবলই একের পর এক অর্জনের গল্প। স্মৃতিচারণ করে তার বন্ধু ও স্বজনরা বললেন, মানুষকে স্পর্শ করার যাদুকরী ক্ষমতা ছিলো হুমায়ূন আহমেদের। তাই আজও তিনি স্বমহিমায় বিরাজমান তাঁর লেখা, চলচ্চিত্র ও গানে।
কথার জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ। বাংলা সাহিত্যের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তার বই, নাটক কিংবা চলচিত্রের ভাষায় কথার জাদুতে মোহিত হননি এমন বাঙালি পাঠক খুব কমই।
প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জনের পর, তার লেখনীতে উঠে আসে জোছনা ও জননীর গল্প, শঙ্খনীল কারাগার, মধ্যাহ্ন ও মাতাল হাওয়াসহ নন্দিত অনেক গ্রন্থ। সৃষ্টি করেছেন হিমু কিংবা মিসির আলীর মতো জনপ্রিয় সব চরিত্র। যদিও অসময়ে চিরবিদায়ে থেমে যায় তার সৃষ্টি।
হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমেদের কাছের মানুষদের স্মৃতিচারণে উঠে এলো সেই সত্য, যা তাকে বসিয়েছিলো নন্দিত লেখকের আসনে। মানুষের মনের গভীরে প্রবেশ করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিলো এই লেখকের।
অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার সাথে তুলনা করলেও হয়তো ভুল হবে না। তার কলম দিয়েই বইমুখী হয়েছে একটি প্রজন্ম। সহজ ও সাবলিল লেখায় মোহিত করেছেন পাঠককে। তার অসামান্য সাহিত্যকর্ম আজ বাঙালি ও বাংলাদেশের সম্পদ।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ১৯শে জুলাই চিরবিদায় নেন সৃজনশীলতার নানান ক্ষেত্রে বিচরণ করা এই মানুষটি। তবে এখনো তার সৃজনকর্ম আন্দোলিত করে কোটি হৃদয়কে।
জেএন/এমআর