দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা। অবাধ বিচরণ অপরাধীদের। রাত-ভোরে পটিয়া যেন আরও ভয়ংকর। নিরাপত্তা বাহিনীর উদাসিনতায় এ সময় বাড়ছে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
ছিনতাইয়ের পাশাপাশি জীবনও হারাচ্ছেন পটিয়াবাসী। তারা বলছেন, টহল পুলিশের ঢিলেঢালা মনোভাব ও চেকপোস্টের অপ্রতুলতার কারণে এ অবস্থা। পুলিশ জানায়, এই অবস্থা কাটাতে সদস্যদের টহল নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে।
রাতে নানা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হন অনেকেই। সারাদিন কর্মজীবন শেষ করে রাতে গন্তব্যে ফিরতে গিয়ে বহু মানুষ ভোগেন নিরাপত্তাহীনতায়।
কথা হচ্ছিল পটিয়া খরনা ইউনয়নের মুজাফরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা রানার সঙ্গে। কিছুদিন আগেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন তিনি। ছিনতাইয়ের ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি।
ভাগ্য সহায়, তাই বেঁচে ফিরেছেন রানা। তবে কয়েকমাস আগে তার মতোই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন তার কাকা উজ্জল। তিনি ফিরে আসতে পারেনি।
ছিনতাইকারীরা তাকে হত্যা করে উপজেলার বিসিক শিল্পনগরী সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশের একটি ময়লার স্তূপে ফেলে দিয়ে চলে যায়। ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে তাকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার দীর্ঘ দেড় মাসের বেশি অতিবাহিত হলেও এ ঘটনায় জড়িত কোন ছিনতাইকারীকে এখনো আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ২ অক্টোবর রানা হামিদ নামের কিশোরের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ ফাহিম নিহত হন। সবশেষ গত ৬ অক্টোবর দুর্বৃত্তদের গুলিতে মোহাম্মদ আনু মিয়া নামের এক কৃষক নিহত হন। কৃষকের খুনি চিহ্নিত ও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন জাগে, নিরাপত্তায় দায়িত্বরতরা কী করছেন? বিভিন্ন থানার টহল পুলিশের বিরুদ্ধে ঢিলেঢালা মনোভাবের অভিযোগ বহু পুরোনো। সরেজমিন যার প্রমাণও মিলেছে। অনেক স্থানে আগে চেকপোস্ট বসলেও এখন আর বসে না।
তবে পুলিশের দাবি, তারা চেষ্টা করছেন নজরদারি বাড়ানোর। এই মুহূর্তে পটিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশি টহল বাড়িয়ে নিরাপত্তা দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
জেএন/পিআর/এমআর