কর্ণফুলীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী রিকশা চালক মোহাম্মদ হাসান (৪০) হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। উদ্ধার করা হয়েছে হাসানের অটোরিক্সা ও মোবাইল ফোন। অটোরিকশার লোভে তারা ওই প্রতিবন্ধিকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।
শনিবার রাতে নগরের কোতোয়ালী থানাধীন লালদীঘির পাড় থেকে মো. আলাউদ্দিন (২৮) ও মো. শাকিল আহমদ (১৯) কে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, গত ৯ নভেম্বর কর্ণফুলী থানার শিকলবাহায় ডোবার পানিতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গলায় কাপড়ের বেল্ট প্যাঁচিয়ে ফাঁস লাগানো এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। পরে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানার মামলা দায়ের হয়। মামলার পরপরই পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির শরীরের ডান হাত ছিল না বলে জানতে পারে পিবিআই। তিনি ছিলেন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। এরপর ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নিহত ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাচালক। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পিবিআই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি মো. আলা উদ্দিন ও মো. শাকিল আহমদকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও অটোরিক্সাটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত হাসান নোয়াখালীর চরজব্বর থানার হালিম বাজার এলাকার মৃত সিদ্দিক আহমদের পুত্র।
এদিকে খুনে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতারের পর কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/এফও/এমআর