চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানায় এক সালিসি বৈঠকে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। এতে অন্ততঃ ৫-৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে থানা কম্পাউন্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের একটি অভিযোগের সালিসি বৈঠক চলছিলো গোলঘরে। এসময় আমুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল দে, তার ভাইপো সঞ্জয় দে তাদের অনুসারীদের নিয়ে থানায় পৌঁছেন। প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য দীলিপ দেবও লোকজন নিয়ে বৈঠকে অংশ নেন। এর একপর্যায়ে উভয়পক্ষ হাতাহাতি মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। স্থানীয়ভাবে একটি অভিযোগ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সমাধানের চেষ্টা করতে গেলে এ ঘটনায় সূত্রপাত। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে আমুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল দে মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগকারী ইউপি সদস্য দিলীপ দেব আপোষ মানছেন না বলে সমাধান করা যাচ্ছে না। তিনি রুক্ষ আচরণ করেছেন।
পৌর কাউন্সিলর সুনীল চন্দ্র ঘোষ বলেন, বৈঠক চলাকালীন সময়ে একপক্ষের লোকজন থানায় জমায়েত হয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এসময় পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করেন।
ইউপি সদস্য দিলীপ দেব বলেন, চেয়ারম্যান পক্ষের লোকজন পুলিশের সামনে আমাদের মারধর করেছে। এর আগে মদ খেয়ে এসেছি বলে উস্কানি দিতে থাকে।
এনিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে। এদিকে সালিসি বৈঠকে আসা কার্তিক নামের এক ব্যক্তির খোঁজ মিলছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন ইউপি দিলীপ দেব ও তার লোকজন। নিখোঁজ কার্তিকের মোটর সাইকেল থানা কম্পাউন্ডে রয়েছে দাবি করে দীলিপ দেব বলেন, কার্তিক বৈঠকে তার পক্ষের সাক্ষী ছিলেন। সন্ধ্যায় থানা আসার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
এব্যাপারে বোয়ালখালী থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, তাদের দাবি অনুযায়ী নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে।
এ নিয়ে দুইপক্ষই রাত ১২টা অবধি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় অবস্থান করছেন।
জেএন/এমআর