চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের (ডিসি) ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী। মামলায় জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা লোপাটের চেষ্টা, মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়।
মঙ্গলবার প্রথম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করেন হেমায়েত হোসেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তা (এলএও) এহসান মুরাদ (৪২), ভূমি সার্ভেয়ার আব্দুল মোমেন (৪০), সার্ভেয়ার ইমাম হোসেন গাজী (৩৮), মোক্তার হোসেন (৪১) ও আবু কায়সার সোহেল (৩৮) এবং অফিস সহকারী বেলায়েত হোসেন বুলু (৪০)।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ৩০ দিনের মধ্যে মামলার প্রতিবেদন জমা দিতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানা যায়, পতেঙ্গা মৌজার সম্পত্তি সংক্রান্ত দুটি মামলা দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ জমির অংশ কর্ণফুলী টানেল তৈরিতে অধিগ্রহণ করা হয়। মামলার বাদী হেমায়েত হোসেনের বিরোধীপক্ষকে জমি অধিগ্রহণের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করেন আসামিরা। ১০ নভেম্বর দুপুর তিনটায় ক্ষতিপূরণের টাকা হালনাগাদের অবস্থা জানতে চাইলে হেমায়েত হোসেনকে গালাগাল শুরু করেন আব্দুল মোমেনসহ অন্যান্য আসামিরা। তিনি এসবের কারণে জানতে চাইলে সার্ভেয়ার মোক্তার হোসেন নিজের রুমে হেমায়েতকে বন্দি করে এলএও এহসান মুরাদকে বিষয়টি জানান। এ সময় আবু কায়সার সোহেল রুমে হেমায়েতকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এদিকে ক্ষতিপূরণ পেতে হলে এহসান মুরাদ স্যারের সঙ্গে পার্সেন্টেজে চুক্তি করতে হবে বলে জানান আসামিরা। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে বলে মামলায় উল্লেখ করেন বাদী।
জেএন/এফও/এমআর