‘মানবতার কল্যাণে কিংবদন্তী সবখানে’ এই শ্লোগোনে নোয়াখালীতে দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার শপথ নিয়েছেন এসএসসি ২০০০ ও এইচএসসি ২০০২ ব্যাচের সহস্রাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
দেশব্যাপী এসএসসি ২০০০ ও এইচএসসি ২০০২ শিক্ষার্থীদের অনলাইন গ্রুপ ‘আমরাই কিংবদন্তী ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে নোয়াখালী জেলা শহরের নোয়া কনভেনশন হলে আয়োজিত মিলনমেলায় এ শপথ বাক্য পাঠ করেন শিক্ষার্থীরা।
শপথ বাক্যে দেশের ৫৫টি জেলা থেকে আগত এসএসসি ২০০০ ও এইচএসসি ২০০২ ব্যাচের প্রায় ১০০০ জন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সব সময় দেশের এবং মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখার অঙ্গিকার করেন।
মিলনমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা বলেন, বন্ধুরাই হলো আমাদের প্রাণ। আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছি। সারাদেশে অসংখ্য অসহায় মানুষ রয়েছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর শপথ করেছি। আমরা অতীতের ন্যায় আগামী দিনেও নিজের বন্ধন অটুট রেখে সমাজের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিসহ সমাজের অনগ্রসর মানুষের জন্যে সেবামূলক কাজ চালিয়ে যাবো।
এর আগে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশের মধ্য দিয়ে মিলন মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। দিনব্যাপী মিলনমেলার অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে রয়েছে স্বপরিবারে বন্ধুদের গল্প-আড্ডা, স্মৃতিচারণ, বিভিন্ন প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ।
আয়োজকরা জানান, আমরাই কিংবদন্তী (এসএসসি ২০০০ ও এইচএসসি ২০০২) নামে সংগঠনটি ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ৫ সেপ্টেম্বর আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন যৌথ মূলধনী কোম্পানী ও ফার্ম সমূহের পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত হয়। এ গ্রুপের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৪৮ হাজার।
গ্রুপটি বিনামূল্যে করোনাকালে ফ্রি অক্সিজেন ব্যাংক কার্যক্রম, চিকিৎসা সেবা ও ওষদ প্রদান; অসহায় মানুষদের মাঝে খাবার, পোষাক ও শতিবস্ত্র বিতরণ; বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি হাসপাতালের সাথে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মীত রক্তদান; বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সহায়তা প্রদান, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত বন্ধুদের পাশে আর্থিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়ানো, দেশজুড়ে পরিচ্ছন্নতা জনসচেতনতা কার্যক্রম, , ফ্রি হেলথ ক্যাম্প, অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও খাবার বিতরণ, এবং রক্তদান কর্মসূচীসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও সংগঠনের প্রজেক্ট অবলম্বনের মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থান করা হয়।
জেএন/এমআর