প্রথমার্ধের পুরোটা জুড়েই আধিপত্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। টিম ওয়েহর গোলে ৮১ মিনিট পর্যন্ত এগিয়েও ছিল দলটি। কিন্তু ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে ফেরা ওয়েলসের ম্যাচে ফেরাটা যে তখনও বাকি। ৮২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা আনে ইউরোপের দলটি। আর তাতে প্রথম ম্যাচে হার এড়িয়েছে গ্যারেথ বেলের দল।
কাতারের আল রায়ান স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে ওয়েলস। ওয়েলসের হয়ে স্পটকিক থেকে গোল করেছেন দলটির তারকা খেলোয়াড় গ্যারেথ বেল।
এই ড্রয়ে বি গ্রুপের দ্বিতীয় অবস্থানে এখন ওয়েলস। সমান পয়েন্ট ও সমান গোল ব্যবধান হলেও কার্ডের কারণে ওয়েলসের নিচে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানকে উড়িয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড আর ইংলিশদের কাছে ধরাসায়ী হয়ে তলানিতে ইরান।
কয়েক প্রজন্ম পড়ে বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া ওয়েলস অবশ্য প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাত্তাই পায়নি। ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করতে বসেছিল বেলের দল। কিন্তু জশ সার্জেন্টের শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগলে সে যাত্রা বেঁচে যায় ওয়েলস। তবে তাতে আক্রমণের ধার কমেনি যুক্তরাষ্ট্রের।
বল দখলে ওয়েলসের থেকে বেশ এগিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ৩৬তম মিনিটে ওয়েহের গোলে লিড পেয়ে যায়। চেলসির মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান পুলিসিকের বাড়ানো থ্রু বলে শুধু পা ছুঁইয়েই গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ওয়েহ। তেমন কোনো আক্রমণ করতে না পারার হতাশা নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ওয়েলস।
দ্বিতীয়ার্ধে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে মাঠে নামে ওয়েলস। খুব একটা নিখুঁত আক্রমণ না করতে পারলেও এ অর্ধের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে বেশ চাপে রেখেছে বেলরা। ৬৪তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ হারায় রব পেজের শিষ্যরা। ওয়েলস ফরোয়ার্ড বেন ডেভিসের হেড কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার।
তবে ভালো ফুটবলের পুরষ্কারটা শেষমেষ পেয়েছেই ওয়েলস। ম্যাচের ৮২ তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বেলকে ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়ে যায় ওয়েলস। স্পটকিক থেকে ম্যাচে সমতা ফেরাতে ভুল করেননি বেল। ম্যাচের একদম শেষদিকে জয়সূচক গোলও পেয়ে যেতে পারতো ওয়েলস। কিন্তু দুর্বল শটে লক্ষ্য ভেদ করতে ব্যর্থ হন ব্রেনান জনসন।
১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওয়েলসকে। রোববার শুরু হওয়া কাতার বিশ্বকাপের এটিই প্রথম ড্র। সোমবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটা ড্রয়ের পথে এগোলেও শেষমেষ দুই গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস।
জেএন/এমআর