দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছে। আজ (শুক্রবার) হারলেই কার্যত বিদায় হয়ে যাবে, জানা ছিল কাতার-সেনেগাল দুই দলেরই। তবে ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়েও সেনেগালের দুরন্ত ফুটবল রুখতে পারলো না কাতার।
দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে কাতারকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে সেনেগাল। অন্যদিকে টানা দুই হারে প্রায় বিদায় হয়ে গেছে কাতারের।
দিনের পরের ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস জিতলে বা ড্র করলেও টুর্নামেন্ট থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে কাতারের।
প্রথমার্ধে সেনেগাল সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল। ৪১ মিনিটের মাথায় তারা গোলও পেয়ে যায়। দলকে এগিয়ে দেন বোলায়ে দিয়া। সেনেগালের দিয়াতার শটে বক্সে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান ডিফেন্ডার বুয়ালেম খুউখি। আলগা বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জালে পাঠান দিয়া (১-০)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে সেনেগাল। ইসমাইল জেকবসের কর্নারে দারুণ হেডে গোলটি করেন ফরোয়ার্ড ফামাহা ডিডিউ (২-০)। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে উঠে কাতার।
এডুয়ার্ডো মেন্ডি বারকয়েক বাঁচান সেনেগালকে। তবে ৭৮ মিনিটে আর বাঁচাতে পারেননি। ইসমাইল মোহাম্মাদের ক্রসে ডি-বক্সে লাফিয়ে হেডে বিশ্বকাপে দেশের প্রথম গোলটি করেন ফরোয়ার্ড মোহামেদ মুনতারি (২-১)। ম্যাচে ফেরার আশায় বুক বাঁধেন স্বাগতিক সমর্থকরা। তবে তাদের সেই আশায় গুঁড়েবালি।
৮৪তম মিনিটে ব্যবধান আবার বাড়িয়ে নেয় সেনেগাল। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে কাটব্যাট করেন এলিমানে এনদিয়াই, আর পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি থেকে শটে বল জালে পাঠান বাম্বা দিয়েং (৩-১)।
এই জয়ের পর দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট হলো সেনেগালের। একটি করে ম্যাচ খেলে তাদের সমান ৩ পয়েন্ট নেদারল্যান্ডস আর ইকুয়েডরের। কাতারের পয়েন্ট শূন্য।
জেএন/এমআর