মিরসরাইয়ে মর্মান্তি সড়ক দুর্ঘটনায় এক পিকআপ ড্রাইভার সহ ৩ জাহাজ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ও আহতরা সবাই বরিশাল, ফিরোজপুর ও মাদারিপুর জেলার বাসিন্দা।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৫টায় মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার চিনকি আস্তানা এলাকায় ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কে এই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পিকাআপ চালক মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার ভদ্রাসন এলাকার আব্দুর রব বেপারীর ছেলে মো: খোরশেদ আলম (৩৮), জাহাজ শ্রমিক বরিশাল জেলার বানারী পাড়া থানার ১নং বিশারকান্দি ইউনিয়নের ১নং বিশারকান্দি ওয়ার্ডের মৃত হায়দার আলির ছেলে সোহেল (৩৮), ফিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি থানার ১ নং বলদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড উরি ভূইয়া গ্রামের মুজাফফরের ছেলে মো হাসান (৪২)। এছাড়া আহত হয়েছেন বরিশাল জেলার স্বরুপ কাঠি থানার বদলিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ বাদলের ছেলে মো: আরিফ (৩৮) ও ফিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি থানার বলদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড উরি ভূইয়া গ্রামের মোহাম্মদ ছব্দার আলীর ছেলে মো: মিজান (৩৫)। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতদের দুইজনের লাশ মিরসরাই জোরারগঞ্জ হইওয়ে পুলিশ হেফাজতে আছে ও একজনের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে আছে।
নিহত সোহেলের আত্মীয় বরিশালের নাছির উদ্দিন সোহাগ জানান, নিহতরা সবাই জাহাজের শ্রমিক। তারা চট্টগ্রামের একটি জাহাজের পাটাতন ঢাকায় মেরামত শেষে সেটি জাহাজে সংযোজন করার জন্য পুনরায় ঢাকা থেকে পিকআপ যোগে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। যাত্রা পথে শনিবার ভোর ৫টায় পিকআপটি মিরসরাইয়ের চিনকি আস্তানা এলাকায় মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে ড্রাইভার প্রশ্রাফ করতে গেলে পিকআপের পিছন দিকে দ্রুতগামী একটি এনা বাস ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর নিয়ে জানা যায়, ঘটনা স্থলে জাহাজ শ্রমিক হাসান (৪২) ও ড্রাইভার খোরশেদ আলম মারা যান। এছাড়া আহত হন সোহেল (৩৮), মো: আরিফ (৩৮) ও মো: মিজান (৩৫)। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করলে হাসপাতালে নেয়ার পর সোহেল (৩৮) এর মৃত্যু হয়। বাকি দুই জনের অবস্তাও সংকটাপন্ন।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নিহত ড্রাইভার খোরশেদ আলম ও হাসানের মৃত দেহ তাদের হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া ঘাতক এনাবাস (ঢাকা-মেট্রো-ভ-১৪-৯৩৬১) জব্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পিকআপ ঢাকা মেট্রো-ন-১৯-৪৪২১ উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চলাচল সাভাবিক করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের লাশ আপনজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জেএন/এমআর