বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম আগমন ও পলোগ্রাউন্ডের মহাসমাবেশে যোগদান উপলক্ষে সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে নগরীর নিমতলা বিশ্বরোড মোড় বিমান চত্বরে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারী শ্রমিক কর্মচারী লীগের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার মোট জনসংখ্যার ২২ লাখ ভোটাধিকারী নাগরিক।
ন্যূনতম হিসাবে দেখা যায়, এই ভোটারদের মধ্যে ৪০ শতাংশ আওয়ামী লীগের ভোটার। অর্থাৎ প্রায় ৮ লক্ষ ৮০ হাজার ভোটার আমাদের। যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে আওয়ামী আদর্শ ধারণ করে। এই ৮ লাখ ৮০ হাজার ভোটারের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ শতাংশও যদি পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশে আসে তাহলে প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার লোকের জমায়েত হবে নেত্রীর মহাসমাবেশে। আবার এর সাথে রয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা।
সুতরাং সহজেই অনুমান করা যায় ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডের মহাসমাবেশে কত লোক হতে পারে। সাধারণ মানুষ শান্তি চায়, সাধারণ মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেয়ে পড়ে শান্তিতে থাকতে চায়।
বিএনপি জামায়াত দেশের মানুষের শান্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা শুরু করেছে। অদৃশ্য শক্তির ইন্ধনে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের গণজাগরণ সৃষ্টি হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারী শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মীর নওশাদের সভাপতিত্ব ও সিনিয়র সহসভাপতি হাজী মো. হাছানের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফর আলী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারী শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ আলমগীর, কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,কাউন্সিলর আফরোজা কালাম, শ্রমিক নেতা শফি বাঙ্গালী, বন্দর সিবিএ নেতা আবদুর ছাদেক মান্না, আলমগীর হোসেন, বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক কর্মচারী লীগের কার্যকরী সভাপতি মো. ইসকান্দর, সিনিয়র সহসভাপতিমো. নুরুল আবছার,মো. আইয়ুব দোভাষ, মো. হুমায়ন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উৎপল বিশ্বাস,হাজী মো. নাছের, আমিনুল ইসলাম ভুঁঞা,মো. জসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
জেএন/এমআর