ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিতে যাওয়া মাহিদুল হোসেন খান মিরাজ এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। সোমবার এসএসসির ফল প্রকাশের পর দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিরাজের মামা মো. আরিফুল ইসলাম।
মাহিদুল বাবা মোতাহের হোসেন খান আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রামের বাসিন্দা ও আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরে অবস্থিত গ্রীন ভ্যালি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবসায়ী ছিলেন।
মাহিদুল হোসেন খান মিরাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। পরিবার আখাউড়া থাকলেও মাহিদুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাউতলী এলাকার মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মাহিদুল হোসেন খান মিরাজের বাবা মোতাহার হোসেন খান হাসান মারা যান। এ সময় মিরাজের এসএসসি পরীক্ষা চলছিল। মিরাজের বাবা মারা যাওয়ার পর দিন ২২ সেপ্টেম্বর বিকালে তার জানাজার সিদ্ধান্ত হয়। এদিন সকালে কাফনে মোড়ানো বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখেই এসএসসির গণিত পরীক্ষায় অংশ নিতে কেন্দ্রে যায় মিরাজ।
মিরাজের মামা আরিফুল ইসলাম জানান, বাবা মারা যাওয়ার পরপরই গ্রামের বাড়িতে চলে যায় মিরাজ। সারা রাত বাবার লাশের পাশে বসে ছিল। সারা রাতই কান্না করে। সকালে বাবার লাশের কফিন ছুঁয়ে পরীক্ষা দিতে যায়।
মাহিদুল হোসাইন খান মিরাজ জানায়, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। আনন্দ লাগছে। বাবা থাকলে আরো ভালো লাগত। কারণ বাবা আমার ফলাফল ও পড়াশোনা নিয়ে খুব আগ্রহী ছিলেন। বড় হয়ে আমি বাবার স্বপ্নপূরণে প্রকৌশলী হতে চাই।
মিরাজের মা তাসলিমা বেগম বলেন, ছেলের ফলাফলে আমি ভীষণ খুশি। ওর বাবা বেঁচে থাকলে তিনিও খুশি হতেন।
জেএন/এমআর