নগর ভবন চত্বরে মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে ভূমিকম্প, অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার বিষয়ক মহড়া।
অগ্নি নির্বাপণের মাধ্যমে মহড়া উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এরপর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সর বিভিন্ন মহড়া প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা ও সিআরআরআই উপ-পরিচালক মতিউল আনসার।
স্বাগত বক্তব্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আবদুল মান্না বলেন, চাহিদার আলোকে নগরের উন্নয়ন হচ্ছে। সাথে বাড়ছে দুর্যোগ। এই দুর্যোগ বা দুর্ঘটনার পর আমাদের রক্ষা করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। অনেক সময় দেখা যায়, নগর উন্নয়নে বিএমডিসি’র নিয়ম মানে না অনেকে। সে ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতিটা অনেক বেশি হয়।
চসিক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ। ভূমিকম্প, অগ্নিকা- প্রভৃতি দুর্যোগ প্রতিরোধ সম্ভব নয়। তাই আমরা দুর্যোগের পূর্বেই সতর্ক হতে পারি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গোল্ড মডেল হিসেবে পরিচিত।
তিনি আরো বলেন, দুর্যোগে উদ্ধারকর্মীরা যাতে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সিটি মেয়র বলেন, দুর্যোগে উদ্ধার তৎপরতায় ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়। নগরের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ড বা বিভিন্ন দুর্যোগে উদ্ধারকর্মীরা যাতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজ চালাতে পারে তার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষ সেখানে ভিড় করে দেখার জন্য। সেখানে দেখার কিছু নেই। পারলে উদ্ধারকর্মীদের সহযোগিতা করতে হবে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ৮ হাজার ২০০ কর্মী রয়েছেন। যেটি এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সক্ষমতা অর্জন করেছে।
জয়নিউজ/হিমেল/আরসি