চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক ফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করার অভিযোগ উঠেছে।
উভয়ের মাঝে তর্কবিতর্ক ও অকথ্য ভাষায় গালাগালির একটি অডিও রেকর্ড বর্তমানে টক অফ দা মিরসরাইয়ে পরিণত হয়েছে।
২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের অডিও রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ইতি মধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের মুঠো ফোনে ঘুরছে সেটি।
মিরসরাইয়ের ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রবীণ নেতা নুরুল আবছারকে গালাগালি করেছেন একই উনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন।
অডিও রেকর্ড থেকে জানা যায়, একটি রাস্তার কাজ উদ্ধোধন নিয়ে ফেসবুকে কমেন্টস করায় উভয়ে মধ্যে বাগ বিতন্ডা হয়।
বাগ বিতন্ডায় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন ওই প্রবিণ রাজনৈতিককে বলেন উল্টা পাল্টা কমেন্টস করলে চোবাই গালের দাঁত ফালাই দিমু (থাপ্পর দিয়ে মুখের দাঁত ফেলে দেব), কে সাহস দিছে তোকে কমেন্ট করতে? তোকে গালে গালে চোবাবো বেয়াদপ কোথাকার, কুত্তার বাচ্ছা।
এসময় সভাপতি নরুল আবছারকে বলতে শুনা যায়, যেখানে সেখানে বংশের পরিচয় দিবেন না। আপনি চা দোকানের মেছিয়ার থেকে চেয়ারম্যান হয়েছেন।
ওই ওয়ার্ড সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান সবসময় তার নিজের ইচ্ছে মত নিজের পছন্দের লোকজন নিয়ে কাজ করে। দলীয় লোকদের ডাকে না। কিছু বললেই বলে আমি নির্বাচিত চেয়ারম্যান নই, টাকা দিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছি।
সেদিন আমাকে না জানিয়ে আমার ওয়ার্ডে একটি রাস্তার কাজ উদ্ধোধন করে। এ ব্যাপারে আপত্তি জানাতেই তিনি আমাকে খুব খারাপ আচরণ করেছেন। আমার বয়স এখন ৭০এর কাছাকাছি, ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। এ ব্যাপারে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে বিচার দিয়েও কোন বিচার পাই নাই।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ওই ওয়ার্ড সভাপতির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। প্রথমবারের মতো তাকে সতর্ক করার জন্য একটু বকাবাধ্য করেছি।
মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, অডিওটি আমারা শুনেছি। ওয়ার্ড সভাপতিও বিষয়টি আমাদেরকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন।
তবে এটি প্রথমে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ দেখবে। তারা যদি আমাদেরকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অবহিত করে তাহলে সাংগঠনিক নিয়ম অনুসারে আমরা ব্যবস্থা নিব।
জেএন/এইউ/পিআর