কাল ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই বড় শোডাউনের জন্য চলছে প্রস্তুতি। দলীয় নেতারা দাবি করছেন ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। গত এক সপ্তাহ ধরে নগরের অলিতে-গলিতে মিছিলসহকারে চলছে প্রচারণা। এই প্রচারণা শেষমুহুর্তে এসে রীতিমতো উৎসবের রূপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল মিছিলগুলোতে নানা ঢংয়ে, নানা রংয়ে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড নিয়ে নেচে গেয়ে প্রচার চালাচ্ছে নেতা কর্মীরা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে স্লোগানে স্লোগানে পুরো চট্টগ্রাম মুখরিত হয়ে ওঠছে।
পিকআপে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে, সিএনজি অটোরিকশা-রিকশায় মাইক বেঁধে, মোটর সাইকেল-বাই সাইকেল শোভাযাত্রা, গণমিছিল, সমাবেশের মধ্য দিয়ে নগরী-উপজেলায়, ইউনিয়ন-গ্রামে শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও কেউ কেউ একা নৌকা ছবি নিয়ে হ্যাড মাইক দিয়ে ব্যতিক্রম প্রচারণা চালাচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগ প্রতিদিন ২০-৩০টি পিকআপে করে পুরো শহর ঘুরে ঘুরে প্রচারণা চালাচ্ছে। শুক্রবার তারা সাইকেল র্যালি করেছেে।
৫০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন নগর ছাত্রলীগের নেতারা।
নগর শ্রমিকলীগ নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা গতকাল একটি অনুষ্ঠানে ১ লক্ষ জনশক্তি নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছেন।
নগরীর নিউমার্কেট মোড়, কোতোয়ালী, পতেঙ্গা, হালিশহর, বহদ্দারহাট, টাইগারপাস, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় সড়কের পাশে লাগানো মাইকে বিরামহীনভাবে চলছে সমাবেশের প্রচার। পাশাপাশি খণ্ড খণ্ড মিছিলে স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
জেলার উপজেলাগুলোতে বিরামহীন প্রচারণা ও খন্ড খন্ড মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। পটিয়া, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, হাটহাজারি, সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি, মিরসরাইয়ে গ্রামের মধ্যেও রাতে দিনে মিছিলসহকারে প্রচারণা চলছে। বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন, দেয়াল লিখন, আলোকসজ্জার মধ্য দিয়ে পুরো চট্টগ্রাম এখন এক ভিন্ন রূপ দেখা যাচ্ছে।
জেএন/এফও/এমআর