বিশ্বকাপ ফুটবলের ডামাডোলের মধ্যেই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ। মিরপুরে আজ (রোববার) দুপুর ১২টায় মাঠে গড়াবে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।
পুরো দেশ বিশ্বকাপ ফুটবলে বুঁদ হয়ে থাকলেও এই সিরিজ ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। প্রতিপক্ষ যে ভারত! যাদের সঙ্গে লড়াই মানেই এখন আলাদা রোমাঞ্চ, উত্তেজনা।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন কঠিন প্রতিপক্ষ যে কোনো দলের জন্যই। ঘরের মাঠে সাত বছর আগে এই ভারতকেই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছিল টাইগাররা। সেই সুখস্মৃতি হতে পারে স্বাগতিকদের বড় অনুপ্রেরণা।
ভারত অবশ্য শক্তি ও সামর্থ্যে অনেক এগিয়ে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়ার মতো বিশ্বসেরা পারফরমারদের নিয়েই এবার খেলতে এসেছে ভারত।
দলটির ট্র্যাক রেকর্ডও অনেক সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের সঙ্গে জয়ের পাল্লাও অনেক ভারি। ৩৬ বারের মোকাবিলায় ভারতের জয় ৩০টিতে। বাংলাদেশ জিতেছে পাঁচবার। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
ইতিহাস, পরিসংখ্যান, শক্তি-সামর্থ্য আর অর্জন, কৃতিত্ব ও সাফল্যের মানদণ্ডে ভারত ফেবারিট। তার ওপর বাংলাদেশ এই সিরিজে পাচ্ছে না নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং দলের পেস আক্রমণের সেরা অস্ত্র তাসকিন আহমেদকে।
বাংলাদেশ দলকে এই সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন তরুণ লিটন দাস। নতুন নেতৃত্বে কেমন করবে টাইগাররা, সেটাই এখন দেখার। লিটন অবশ্য নিজেদের নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী।
টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘ভারত ভালো দল। তাদের খ্যাতি এবং ফর্ম দুইই আছে। তবে আমরা ইদানিং ভারতের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলি। তাই আমার বিশ্বাস ভারত আর আমাদের আন্ডারডগ ভাবে না। আমার মনে হয় এটাই বড় ব্যাপার।’
ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও মানছেন, বাংলাদেশ আর আন্ডারডগ নয়। তার ভাষায়, ‘বাংলাদেশ গত ৭-৮ বছরে একটা অন্যরকম দলে পরিণত হয়েছে। দিনে দিনে বাংলাদেশ নিজেদেরকে একটা চ্যালেঞ্জিং জায়গায় নিয়ে গেছে। আমাদের জেতাটা সহজ হচ্ছে না। কষ্ট করে ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। আমরা নিকট অতীতে যতগুলো ম্যাচ খেলেছি, তার প্রায় সবটাতেই প্রতিদ্বদ্বিতা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রায় সমানতালে লড়াই করেছে। এমনকি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও আমাদের জিততে খুব কষ্ট হয়েছে।’
আরও একবার ভারতের কষ্ট করে জিততে হোক, কিংবা লাল-সবুজের বিজয়ের পতাকা উড়ুক মিরপুরের গ্যালারিতে, এমন প্রত্যাশায় টাইগার সমর্থকরা।
জেএন/এমআর