চলতি বিশ্বকাপে যে রেকর্ডটি গড়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, সেই একই আসরে সে রেকর্ডটি ভেঙ্গে দিলেন আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি।
চলতি বিশ্বকাপে ঘানার বিপক্ষে পর্তুগালের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো হয়েছেন ম্যাচসেরা। গড়ে ফেলেছিলেন বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার রেকর্ড। রোনালদোর ঝুলিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার এই নিয়ে সপ্তম বারের মতো।
মেসি সেই রেকর্ডটাই ভেঙে দিয়েছেন। আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টাইন মহাতারকা প্রথমার্ধে করেছেন দারুণ এক গোল। এছাড়াও পুরো ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন।
৫৮টা পাস খেলেছেন, যার ৯০টিই নির্ভুল, ১০টা পাস খেলেছেন ফাইনাল থার্ডেও। প্রতিপক্ষ বক্সে বল ছুঁয়েছেন ৯ বার, যা এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি। এখানেই শেষ নয়, ম্যাচে সবচেয়ে বেশি শট (৬), বড় সুযোগ তৈরি (২) করেছেন এই মেসিই। ‘ডার্টি জবও’ করেছেন বৈকি! দু’বার ফাউলের শিকার হয়েছেন, একটা ট্যাকল করেছেন প্রতিপক্ষকে। মোদ্দাকথা, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের এই লড়াইয়ে অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সই উপহার দিয়েছেন মেসি।
তাতেই তিনি বনে গেছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। গড়ে ফেলেছেন রেকর্ডটাও। রোনালদোর সাত ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ছাপিয়ে মেসি পৌঁছে গেছেন বিশ্বকাপে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার দিক থেকে অনন্য অবস্থানে, বর্তমানে তার ম্যাচসেরার পুরস্কার আছে ৮টি। ৬ বার ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়ে এই তালিকার তিনে অবস্থান করছেন আরিয়েন রবেন।
এই ম্যাচে অবশ্য এই এক দিক থেকে রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাননি মেসি। গোলের দিক থেকেও পর্তুগিজ কিংবদন্তিকে ছাড়িয়েছেন তিনি। বর্তমানে মেসির বিশ্বকাপ গোলের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৯-এ। রোনালদোর বিশ্বকাপে গোল ৮-টি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গোলের পর চলতি বিশ্বকাপে মেসির গোলের সংখ্যা দাঁড়াল ৩। তাতে করে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে আবারও তিনি চলে এসেছেন শীর্ষে। তবে তার সঙ্গে সমতায় আছেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে, ইংল্যান্ডের মার্কাস র্যাশফোর্ড, নেদারল্যান্ডসের কোডি গ্যাকপো।
ইকুয়েডরের অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়ার গোলও তিনটি, তবে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে তার দল। ওদিকে রোনালদো এই বিশ্বকাপে গোল পেয়েছেন মোটে একটি।
জেএন/পিআর