চট্টগ্রাম এসে পৌছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) পৌঁছান তিনি।
সেখানে ‘৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্স’-এর কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে’ যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
মিলিটারি একাডেমি থেকে দুপুরে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে যাবেন শেখ হাসিনা। স্টেডিয়াম থেকে গাড়িতে পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।
চট্টগ্রাম নগর, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি ১৬০ ফুট লম্বা নৌকার আদলে সভা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে পলোগ্রাউন্ড মাঠে।
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে নেতাকর্মীদের মধ্যে।
দীর্ঘ ১০ বছর ৯ মাস পর চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন। স্থানীয় শীর্ষ নের্তৃবৃন্দরা সমাবেশ সফল করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। রাজধানী ছেড়ে জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতারওে অবস্থান করছেন চট্টগ্রামে।
জনসভাকে ঘিরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রচার চলছে। নগরের অলিগলি রাজপথ ছেয়ে গেছে পোস্টার, ব্যানার ও তোরণে।
বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী যেসব সড়ক ব্যবহার করে জনসভায় যাওয়া-আসা করবেন, সেসব সড়কে ব্যানার-পোস্টার লাগানোর জায়গা নেই। ইতোমধ্যে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে জনসভার দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ। ৩ হাজার ৫২০ বর্গফুটের এই মঞ্চে কমবেশি ২০০ মানুষ বসতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম শহরজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। নিরাপত্তা রক্ষায় র্যাবের পাশাপাশি থাকছেন সাড়ে সাত হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। জনসভা ঘিরেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এসএসএফ আগে থেকে জনসভাস্থলসহ সম্ভাব্য সব স্থানের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে কেবল মাঠ ও আশপাশের এলাকায় সাত হাজারের বেশি পুলিশ থাকছে।
জনসভা মাঠ ও আশপাশের এলাকায় ৩০০ মাইক বসানো হয়েছে। সভাস্থলের দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত জনসভার মাইকের শব্দ পাওয়া যাবে। মাঠে থাকবে ৩০ পেয়ার সাউন্ড সিস্টেম।
নগরের দেওয়ানহাট, সিআরবি, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, কদমতলী, স্টেশন রোডসহ আশপাশের এলাকায় এই মাইকগুলো লাগানো হয়।
আজ সে কাঙ্খিক দিন। রবিবার বিকেলে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে দলীয় জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আর প্রিয় নেত্রীর দিক নির্দেশনা শুনতে এবং চট্টগ্রামের উন্নয়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে জড়ো হচ্ছেন। এই জনসভা থেকেই ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেএন/পিআর