নগরের সরকারি কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ হবে না এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের অর্ধেকেরও বেশি।
কারণ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তুলনায় নগরীর সরকারি কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা কম। ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর হয় বিভাগ পরিবর্তন করতে হবে, না হয় নগরীর বাইরে অন্য কোনো কলেজে ভর্তি হতে হবে। ভর্তি নিয়ে ইতোমধ্যে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক।
এদিকে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে একাদশে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, এবার এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ড থেকে ১৮ হাজার ৬৬৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। নগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৫৬২ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ২২৩ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ১৫৭ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ২ হাজার ২০২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এর বিপরীতে নগরীর ৮টি সরকারি কলেজে মোট আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৭০০টি। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৩ হাজার ৪০০টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৩ হাজার ৬৫০টি এবং মানবিক বিভাগের আসন সংখ্যা ২ হাজার ৬৫০টি।
এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৮৩৫ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬৮৯ জন, মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৩ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৯৩ জন শিক্ষার্থী।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. জাহেদুল হক বলেন, এবছর আর আসন সংখ্যা বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই। গতবছর কলেজের সক্ষমতা বিবেচনা করে ২৩০টি আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া, এবছর নগরীর ৮টি সরকারি কলেজে মোট আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৭০০টি। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৩ হাজার ৪০০টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৩ হাজার ৬৫০টি এবং মানবিক বিভাগের আসন সংখ্যা ২ হাজার ৬৫০টি।
জেএন/হিমেল/এমআর