সফরকারী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শেষ একদিনের ম্যাচ ও প্রথম টেস্ট ঘিরে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলছে চট্টগ্রাম পুলিশ। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নকল মহড়া বা মক ড্রিলের আয়োজনও করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু থেকে জহুর আহাম্মদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পর্যন্ত নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অংশ নিয়েছিল পুলিশের পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বোমা উদ্ধার ও পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট সদস্যরাও।
সম্ভাব্য সন্ত্রাসী ঘটনা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, বোমা বিস্ফোরণের মতো জরুরি পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিএমপির এই ইউনিট সমূহ মহড়া দেয়।
জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার মহড়া শেষে সাংবাদিকদের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার কৃঞ্চপদ রায়।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে। আমাদের পুলিশের পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজ লাগিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের ক্রিকেট দলের সফর ঘিরে পরিকল্পিতভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
হোটেল থেকে মাঠে খেলোয়াড়দের আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে সার্বক্ষণিক পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। র্যাব ও সোয়াটের সঙ্গে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট একই সঙ্গে মাঠে থাকবে।
উল্লেখ্য, গেল ৪ ডিসেম্বর সফরের প্রথম ওয়ানডে মিরাজের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রোহিতদের হারিয়েছে ভারত। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। তৃতীয় ম্যাচ আগামী ১০ ডিসেম্বর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। একই মাঠে ১৪ ডিসেম্বর শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ।
৯ ডিসেম্বর নগরের বিটাক মোড়, এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে টিকিট পাওয়া যাবে। এছাড়াও ম্যাচের দিন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বুথে টিকিট পাওয়া যাবে।
যেখানে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড/ রুফটপ ১৫০০ টাকা, আন্তর্জাতিক গ্যালারি ১০০০ টাকা, ক্লাব হাউজ ৫০০ টাকা, পূর্ব গ্যালারি ৩০০টাকা ও পশ্চিম গ্যালারির টিকিটের মূল্য ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দুই প্রতিবেশীর ম্যাচের টিকিটের চাহিদা সব সময় সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। যার কারণে বিশ্বকাপ ফুটবলের মাঝেও দুই দলের খেলা উপভোগ করতে আগ্রহ সমর্থকদের।
জেএন/পিআর