চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য একটি সাজানো মামলায় সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। বিচার প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে বিচারের নজির পৃথিবীতে নেই। অসুস্থ থাকা অবস্থায় কোনো মামলায় বিচারের রায় দেয়া আইনবিরোধী। এই রায়ে বেগম জিয়া ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটা সম্পূর্ণভাবে একটি ফরমায়েশী রায়। সরকার যা বলছে, যা চেয়েছে এবং সরকারের মন্ত্রীরা যা বলছেন, সেগুলোর প্রতিফলন হয়েছে এই রায়ের মধ্যে। তাই আমরা এই রায় প্রত্যাখান করছি।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় নগরের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সফল সমাবেশের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে চট্টগ্রাম শহীদ জিয়া ও বিএনপির ঘাঁটি। এই সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতির চিত্র পাল্টে গেছে। চট্টগ্রামের সমাবেশ থেকে জনগণ মেসেজ দিয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে আর বন্দী করে রাখা যাবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, সহসভাপতি সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কী, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু। সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম বাচ্চু, নগর মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, শেখ নুরুল্লাহ বাহার প্রমুখ। সমাবেশে বুধবার (৩০ অক্টোবর) দলীয় কার্যালয় মাঠে কেন্দ্রঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
জয়নিউজ/অভি/জুলফিকার