নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর আসন শূন্য করে গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যেই এসব আসনের নির্বাচন আয়োজন করা হবে। এটি ইসির সাংবিধানিক দায়িত্ব। আজ রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে নির্বাচন কেন্দ্রিক সংলাপের আয়োজন করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়। তারা সংলাপ করতে পারে। এটা ইসির দায়িত্ব নয়।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির দলীয় সাতজন এমপির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। পরে আজ বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে তারা জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সশরীরে উপস্থিত হয়ে জমা দেওয়া বিএনপির পাঁচ এমপির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। তবে যে দুই এমপি সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না, তাদের মধ্যে হারুন অর রশীদ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ইমেইলে এবং তার সই স্ক্যান করে বসানো হয়েছে। তাই তাকে পুনরায় পদত্যাগপত্র দিতে হবে। অপরজনের আবেদনের সই যাচাই করার পর সিদ্ধান্ত হবে।
এ ব্যাপারে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র তিনি পেয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন নিজেরাই এসেছিলেন। বাকি দুজনের একজন অসুস্থ, আরেকজন বিদেশে।
সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, পদত্যাগপত্র সশরীরে এসে জমা দিতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যে পাঁচজন পদত্যাগপত্র নিয়ে এসেছেন, তাদের আসন শূন্য হয়ে গেছে। বাকি দুটি আবেদনের সই যাচাই করা হবে এবং তারাই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন কিনা, সংসদ সচিবালয় তা খোঁজ নেবে। তবে হারুন অর রশীদ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ইমেইলে, তার সই স্ক্যান করে বসানো হয়েছে। এটা গ্রহণ করা হবে না, তাকে আবার পদত্যাগপত্র দিতে হবে।
তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপির এমপিরা। এর মধ্যে সশরীরে পদত্যাগপত্র দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
এদিকে, বিদেশে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ এবং অসুস্থতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের পক্ষে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা পদত্যাগপত্র জমা দেন।
জেএন/এমআর