হালদা নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলনকালে ৮ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের সময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুটি নৌকা জব্দ করে ভেঙে ফেলা হয়।
এছাড়া বিকাল ৪টার দিকে তিনি উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের সাদেক নগর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের কালা গাজী চৌধুরী সড়কের ১নং খাস খতিয়ানের ১৫ শতক রাস্তা অবৈধ দখলমুক্ত করেন।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার নাজিরহাট কলেজের পাশে হালদা নদীর পাড়ে অবৈধ বালু মহলে অভিযান চালান হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমিন।
ইউএনও রুহুল আমিন এ প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘদিন ধরে একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র হালদা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে হালদার বিভিন্ন অংশে ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে গত দুই সপ্তাহে একাধিক ড্রেজার মেশিন ধ্বংস ও বিপুল পরিমাণ বালু জব্দ করা হয়। সর্বশেষ বুধবার ভোরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উপজেলার নাজিরহাট কলেজের পূর্ব পাশে হালদা তীরে অবৈধ বালু মহলে অভিযান চালিয়ে দুটি নৌকাসহ ৮ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে। পরে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত নৌকা দুইটি ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের সাদেক নগর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের কালা গাজী চৌধুরী সড়কের ১নং খাস খতিয়ানের ১৫ শতক রাস্তা দীর্ঘদিন এক ব্যক্তি পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে অবৈধ দখলে রেখেছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকাল ৪টার দিকে ইউএনও ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে রাস্তাটি দখলমুক্ত করেন। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, গুমামর্দ্দন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, সচিব মো. আবু তৈয়বসহ ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
জয়নিউজ/জুলফিকার