পেরুতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ক্যাসটিলোকে ক্ষমতাচ্যুত ও আটকের পর এক সপ্তাহের প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক অভ্যুত্থান পরিস্থিতি সামাল দিতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

- Advertisement -

বুধবার পেরুর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলবার্তো ওটারোলা ভাঙচুর ও সহিংস পরিস্থিতির কারণে নতুন ৩০ দিনের তৎপরতা ঘোষণা করেন যার মধ্যে রয়েছে স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও সমাবেশের ওপর স্থগিতাদেশসহ কারফিউ জারির মতো অবস্থা এবং সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরির মতো ব্যবস্থা।

- Advertisement -google news follower

প্রতিরক্ষমন্ত্রী তার ঘোষণায় বলেন, ‘মানুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তি, সর্বোপরি কৌশলগত অবকাঠামোসহ পেরুবাসীর নিরাপত্তায় দেশের পুলিশ সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোতভাবে সহায়তা করবে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ক্যাসটিলোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে শুনানি শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব উদ্যোগ নেওয়া হলো।

- Advertisement -islamibank

এদিকে, ক্যাসটিলোর সমর্থকরা দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি জুড়ে বামপন্থি এই নেতার মুক্তির দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। পাশাপাশি তারা নতুন নির্বাচন ও ক্যাসটিলোর উত্তরাধিকারী দিনা বলুআর্তের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।

সঙ্কটের শুরু গত সপ্তাহে যখন ক্যাসটিলো পেরুর কংগ্রেস ভেঙে দিয়ে ডিক্রির মাধ্যমে দেশ শাসণের ঘোষণা দেন। সাবেক শিক্ষক ও ইউনিয়ন নেতা ক্যাসটিলো গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষমতায় এসেছিলেন।

ক্যাসটিলোর এ ধরনের উদ্যোগকে বিরোধী দল অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করে এবং গত বুধবার কংগ্রেসে অভিসংশন প্রস্তাবের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে সর্বসম্মতভাবে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।

এর পরপরই দিনা বলুআর্তে পেরুর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন এবং ক্যাসটিলোকে আটক করে রাজধানী লিমার অদূরে পুলিশের কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি সেখানে এখনও আটক আছেন।

পেরুর আইনজীবীরা এ সপ্তাহে জানায় তারা ক্যাসটিলোকে ১৮ মাস আটক রাখতে চান। তবে ক্যাসটিলো তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন তার প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে আটক রাখা হয়েছে।

এদিকে প্রাথমিকভাবে সাত দিনের আটকাদেশের মেয়াদ শেষ হবার পর ক্যাসটিলো তার সমর্থকদের প্রতি তাকে যেখানে আটক রাখা হয়েছে সেখানে আসার ডাক দেন। তিনি আন্ত-আমেরিকান মানবাধিকার আদালতকে তার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

পেরুর ন্যায়পাল কার্যালয় এক বিবৃতিতে বিক্ষোভে ছয়জন নিহত হওয়ার সংবাদ দিয়েছে। আর এসব সহিংস ঘটনার বেশিরভাগই ঘটেছে দেশটির গ্রামাঞ্চলে যেখানে ক্যাসটিলোর জোড়ালো সমর্থন রয়েছে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM