বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য ৫১৩ রানের। টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ৪১৮ রানের। অর্থাৎ এই টেস্টে জিততে হলে টাইগারদের বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে।
তারপরও আশা ক্ষীণ বেঁচে রয়েছে বাংলাদেশের। স্বীকৃত ব্যাটারদের শেষ জুটি সাকিব আল হাসান আর মেহেদি মিরাজ চট্টগ্রাম টেস্টে লড়াই টিকিয়ে রেখেছেন পঞ্চম ও শেষ দিন পর্যন্ত।
৬ উইকেটে ২৭২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছে টাইগাররা। সাকিব ৪০ আর মিরাজ ৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে আছেন। জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ২৪১ রান। কার্যত এই ম্যাচ বাঁচানো বা জয়ের চেষ্টা করা প্রায় অসম্ভব।
তবে ক্রিকেট যেহেতু অনিশ্চয়তার খেলা, তাই আগেভাবেই কিছু বলে দেওয়ার উপায় নেই। সাকিব আর মিরাজ দুজনেরই এর আগে লড়াকু ইনিংস খেলার অতীত আছে। সবচেয়ে বড় কথা, শেষ দিনের জন্য রোমাঞ্চটা জমিয়ে রেখেছেন তারা।
নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জাকির হাসানের ওপেনিং জুুটিটা ছিল দারুণ। ৪৬ ওভারে ১২৪ রানের জুটি গড়ে ফেরেন শান্ত। দারুণ খেলতে থাকা এই বাঁহাতি অবশ্য আরও একবার আউট হয়েছেন নিজের ভুলে।
উমেশ যাদবের বেশ বাইরের বল খোঁচা দিয়ে ক্যাচ হয়েছেন এই বাঁহাতি। স্লিপে বিরাট কোহলি সেই ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন, কিন্তু মাটিতে পড়ার আগেই সেটা গ্লাভসবন্দী করেন রিশাভ পান্ত।
১৫ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পেয়েছেন শান্ত। যেটি তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট হাফসেঞ্চুরি। ১৫৬ বলে গড়া তার ৬৭ রানের ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারির মার।
শান্ত আউট হওয়ার সাত রানের মাথায় আরও একটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতোই বোল্ড হয়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বি (৫)। এবার তার উইকেট ভেঙেছেন অক্ষর প্যাটেল।
লিটন দাস ধীরগতিতে দেখেশুনে খেলছিলেন। কিন্তু হঠাৎ উঁচু করে মারতে গেলেন। উইকেট দিলেন কুলদ্বীপ যাদবকে, সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন লিটন (১৯)।
অভিষেক টেস্টে দারুণ এক ইনিংস খেললেন জাকির হাসান। ছুঁলেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারও। কিন্তু সেঞ্চুরির পর কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রানেই থামতে হলো তাকে। মাইলফলক ছোঁয়া হয়ে গেছে বলে তেড়েফুরে মারতে গিয়েছিলেন, তেমনও নয়।
ভালো বলেই আউট হয়েছেন জাকির হাসান। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এক ঘূর্ণি ডেলিভারি ডিফেন্ড করতে গিয়ে তার ব্যাটে লেগে যায়। স্লিপে নিচু এক ক্যাচ নেন বিরাট কোহলি। ২২৪ বলে ১৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় গড়া জাকিরের ১০০ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটার সমাপ্তি তাতেই।
এরপর অক্ষর প্যাটেল ইনিংসের ৮৮তম ওভারে পাঁচ বলের ব্যবধানে ফিরিয়েছেন মুশফিকুর রহিম (২৩) আর নুরুল হাসান সোহানকে (৩)। মুশফিক হয়েছেন বোল্ড, সোহান স্টাম্পিং।
সেখান থেকে সাকিব আল হাসান আর মেহেদি হাসান মিরাজের লড়াই। বাংলাদেশের যে ক্ষীণ আশা বাকি, সেটি তাদের ব্যাটেই।
জেএন/এমআর