মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন তিন লাখ ৮১ হাজার ৭১৪ জন। আর করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৪৪ হাজার ৭৫৯ জন।
এ নিয়ে মহামারি শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৭১ হাজার ১৯৬ জনে। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৭৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩২৯ জনে। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬৩ কোটি ১৩ লাখ ১১ হাজার ৮৯ জন।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত হয়েছে জাপানে। আক্রান্তের দিক থেকে তালিকার ৭ নম্বর থাকা দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জন ও মারা গেছেন ২৬৪ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫৩ হাজার ৮৭ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ২ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার ২৩৬ জন।
জাপানের পর ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায়। দেশটিতে একদিনে মারা গেছেন ৫৮ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৫৩১ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো তিন লাখ ৯২ হাজার ৯৪৯ জনে। আর মোট শনাক্ত দুই কোটি ১৭ লাখ আট হাজার ৮৫২ জন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সংক্রমিত হয়েছেন আট হাজার ৬২৯ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ১৭ লাখ ৫২ হাজার ৪৭৪ জন এবং মারা গেছেন ১১ লাখ ১২ হাজার ৯৬৫ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে তালিকায় পাঁচ নম্বরে থাকা ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৮৯৭ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫৪ জন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়ালো তিন কোটি ৫৯ লাখ দুই হাজার ৪২৫ জনে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ছয় লাখ ৯১ হাজার ৮৩০ জন।
একদিনে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৫৫ জন। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৭৫২ জন। এ নিয়ে আক্রান্ত বেড়ে হলো দুই কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৪৩১ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৩১ হাজার ৩৫৩ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ২১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। পরের বছরের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
জেএন/এমআর