কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড় থেকে সৃষ্ট বনিরছড়া খাল থেকে মাছ ধরতে যাওয়া আট বাংলাদেশিকে তুলে নিয়ে গেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। অপহরণের পর থেকে সন্ত্রাসীরা তাদের পরিবারের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করছেন বলে জানিয়েছেন অপহৃতদের স্বজনরা।
গতকাল রোববার বিকেলে বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ের বনিরছড়া খালে মাছ শিকার করতে গেলে সেখান থেকে তাদের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
অপহৃতরা হলেন—টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল, তার ভাই করিম উল্লাহ, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রিদুয়ান, রুস্তম আলীর ছেলে সলিম উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, রশিদ আহমদের ছেলে নুরুল আবছার ও নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ।
অপহৃত মোস্তফা ও করিমের বড় ভাই হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘পাহাড়ের ছড়ার খালে মাছ ধরার সময় হঠাৎ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে তাদের সবাইকে জিম্মি করে। পরে তাদের অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মুঠোফোনে মোস্তফা জানায়। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ রয়েছে।’
আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম।
স্বজনদের বরাতে টেকনাফ থানার ওসি জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা ফোন করে জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বাহারছড়ার ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান এবং ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর হাতে অপহৃত আটজনকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মাছ শিকার করতে গিয়ে তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ ফেরত না আসায় বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।’
এ বিষয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, ‘অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশা করি সহসা তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’
জেএন/এমআর