তার মত দুর্ভাগা ফুটবলার আর হয়তো হবেও না। সময়ের সেরা স্ট্রাইকার। জিতেছেন সেরার স্বীকৃতি ব্যালন ডি’অর। বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও ছিলেন; কিন্তু বিশ্বকাপ শুরুর দু’দিন আগে পড়ে যান ইনজুরিতে। যে কারণে ছিটকে পড়েন পুরো বিশ্বকাপ থেকেই।
যদিও ফ্রান্স স্কোয়াড থেকে তার নাম কাটা হয়নি। এরই ফাঁকে সুস্থ হয়ে যান করিম বেনজেমা। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেন। যাতে বোঝা যায় তিনি পুরোপুরি ফিট। চাইলে আবার যোগ দিতে পারেন ফ্রান্সের স্কোয়াডে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার পর ফ্রান্সের হয়ে আবারও বেনজেমার খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়। বলা হয়, তিনি ফাইনালে খেলতে পারেন; কিন্তু আলোচনা কিংবা গুঞ্জন উঠলেও করিম বেনজেমাকে নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখাননি ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। প্রথমদিন সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা উঠলে তিনি প্রশ্নটা এড়িয়ে যান। বলেন, পরের প্রশ্ন করুন।
পরে তো জানিয়ে দেন, বেনজেমাকে নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই করছেন না ফরাসি কোচ। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেনজেমা বলে দেন, ‘নট ইন্টারেস্টেড’। অর্থ্যাৎ, ফাইনাল নিয়ে তার কোনো আগ্রহ নেই।
বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখার জন্য বেনজেমাসহ সাবেক এবং বর্তমান অনেক তারকাকেই দোহায় দাওয়াত পাঠিয়েছিলেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। কিন্তু বেনজেমা সেই দাওয়াতও প্রত্যাখ্যান করেন। যদিও তখন বোঝা যায়নি যে, বেনজেমার মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু বোঝা গেছে বিশ্বকাপের পরের দিন। আজ সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করিম বেনজেমা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে জানিয়ে দিলেন, আন্তর্জাতিক ফুটবলকে গুডবাই। আর ফ্রান্স দলের হয়ে খেলবো না।
কিছুক্ষণ আগে এক টুইটার পোস্টে বেনজেমা লিখেন, ‘আমি আজ যেখানে এসে দাঁড়িয়েছি, তা অনেক চেষ্টা এবং ভুলের সমন্বয়ে হয়েছে। আমি এর জন্য গর্বিত। আমি আমার গল্প লিখে ফেলেছি এবং এখানেই আমার শেষ।’
২০১৪ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের হয়ে খেলেছিলেন। ২০১৮ বিশ্বকাপে কোচের সঙ্গে ঝামেলার কারণে খেলতে পারেননি। ক্লাবে বসেই দেখেছেন তার নিজ দেশের ফুটবলারদের বিশ্বকাপ জয় করতে। এবারের বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকলেও ইনজুরির কারণে আগেই ছিটকে পড়েন।
ফ্রান্সের হয়ে ২০০৭ সালে অভিষেক বেনজেমার। এরপর থেকে দেশটির হয়ে খেলেছেন ৯৭টি ম্যাচ। গোল করেছেন ৩৭টি।
জেএন/এমআর