যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়, আবার তুলেও নেয় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
ঢাকার ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোমেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো অবস্থানে রয়েছে। আর সে কারণেই চলতি বছরে দুদেশের মধ্যে ১৬টা মিটিং হয়েছে। আমাদের মধ্যে অ্যাঙ্গেজমেন্টও ভালো।’
‘যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বাংলাদেশের ওপর আর কোনো নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই। বিভিন্ন দেশকে তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আবার তুলেও নেয়। এ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।—যোগ করেন মোমেন।
এসময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। বলেন, ‘মোদির ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, পরে আবার তুলেও নেয়।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইইউর সঙ্গে বিনিয়োগ, রপ্তানি ও নলেজ প্রোগ্রামভিত্তিক টেকনোলজি বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নতুন শ্রমবাজার হিসেবে ইউরোপের রোমানিয়া, মাল্টাসহ বেশ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে।
কয়েকটি দেশে প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট জটিলতা নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানে থাকা প্রবাসীরা নিজেরাই নিজেদের বয়স কমাতে চান। সেটাই জটিলতা।
এ সময় রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ২৭ দফা রূপরেখায় উল্লেখিত গুম-খুনের কমিশন গঠনের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা (বিএনপি) অমানবিক। অথচ ওরাই আবার মানবিকতার কথা বলে।’
‘বিএনপির মিটিংয়ে লোকেরা ভয়ে গাড়ি বের করেনি। মালিকরা ভয়ে বাস বন্ধ রেখেছে। তারা (বিএনপি) জ্বালাও-পোড়াও করেছে, আগুন দিয়ে লোক পুড়িয়ে মেরেছে।’
জেএন/এমআর