১৬ ডিসেম্বর রাঙ্গুনিয়ায় এক পরিবারের গরুর খুঁটিসহ রশি ক্ষেত থেকে চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় তর্কাতর্কিতে জয়নাল উদ্দিন জালাল ও কামাল হোসেন নামের দুই ভাই নিহত হয়। ঘটনার পাঁচদিন পর ২০ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানা ও ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে র্যাব এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত দুই ঘাতককে গ্রেফতার করেছে।
এরা হলেন- সাইফুল ইসলাম সাইফু (৪২) ও মোর্শেদুল আলম (২২)। তাদের পিতার নাম মোঃ শফিকুল ইসলাম। তাদের বাড়ি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার পশ্চিম খুরুশিয়ায়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ নূরুল আবছার বলেন, ১৬ ডিসেম্বর জয়নাল উদ্দিন জালাল তাদের গৃহপালিত গরু নিয়ে ক্ষেতে গিয়ে দেখতে পায় মোঃ শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাদের চুরি হওয়া রশি দিয়ে তার গৃহপালিত গরু বেঁধে রেখেছে। তখন জালাল উদ্দিন তার কাছে রশি কোথায় পেয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে মোঃ শফিকুল ইসলাম জালালকে মারধর করেন। ভিকটিমের চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে আসলে মোঃ শফিকুল ইসলাম চলে যায়। পরবর্তীতে ওইদিন বিকালে শফিকুল ইসলাম তার তিন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হাতে ধাঁড়ালো ছোরা, কিরিচ, গাছের লাঠি, লোহার রড দেশীয় তৈরী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে মধ্যম পাড়া রাস্তার উপর এসে অতর্কিতভাবে জালালকে মারধর করেন। জয়নাল উদ্দিন জালাল ও তার ভাই কামাল হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ নূরুল আবছার বলেন, এ ঘটনাার পর র্যাব পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নামে।
নৃশংস ও লোমহর্ষক ঘটনার আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম তথ্য প্রযুক্তি ও ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে।
এর ধারাবাহিকতায় এজাহার নামীয় ৪ নং আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম সাইফুকে চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানাধীন পূর্ব নিমতলা ডিয়ারপাড়া একটি বিল্ডিং এর ৪র্থ তলা থেকে ২০ ডিসেম্বর রাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে ২১ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে ২নং আসামী মোঃ মোর্শেদুল আলমকে নগরের বন্দর থানাধীন বেচাশাহ রোডস্থ পশ্চিম গোসাইল ডাঙ্গার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই র্যাব কর্মকর্তার দাবি, গ্রেফতারকৃতরা র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নৃসংশ হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করেন।
জেএন/এফও/এমআর