তীব্র শীতকালীন ঝড়ে তামপাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে যেতে থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সময় শরীরের খোলা অংশগুলো পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ফ্রস্টবাইটের শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ৪ হাজার ৪০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। এর মধ্যে কেবল শুক্রবারই (২৩ ডিসেম্বর) বাতিল করা হয়েছে ২১০০টিরও বেশি ফ্লাইট।
শনিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বড়দিনের ছুটি শুরু হতে যাচ্ছে। এই ছুটির অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১৭ কোটি ৭০ লাখ আমেরিকানকে তীব্র ঠাণ্ডার সতর্কতার মধ্যে থাকতে হবে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগের (এনডব্লিউএস) ভাষ্য অনুযায়ী, আর্কটিক অঞ্চল থেকে ধেয়ে আসা বিশাল একটি শীতকালীন ঝড়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ অঞ্চলে তাপমাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে যাবে।
বিবিসি জানিয়েছ, যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অংশজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছ, এর বিস্তৃতি আটলান্টিক উপকূল থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল পর্যন্ত এবং দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত থেকে ফ্লোরিডা পর্যন্ত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রবল এই ঝড়ের কারণে বৃহস্পতি ও শুক্রবার, দুই দিনে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চার হাজার চারশরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে; অথচ এবারের বড় দিনের এই ছুটির সময়টি সর্বকালের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই শৈত্যপ্রবাহের কারণে অঞ্চলটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বরফপূর্ণ বড়দিন (ক্রিসমাস) দেখতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, শনি, রোববার দেশের কিছু অংশের তাপমাত্রা মাইনাস ৪৫ থেকে মাইনাস ৫৫ সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। তারা সতর্ক করে বলেছে, আইওয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ডে মইনের মতো নগরীগুলোতেও ফ্রস্টবাইট বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে।
রক্ত প্রবাহ কমে গেলে ফ্রস্টবাইট হয়। প্রায়ই নাক, গাল, হাত ও পায়ের আঙ্গুলের মতো প্রান্তীয় অংশগুলো ফ্রস্টবাইটের শিকার হয়। উষ্ণ রক্তের অভাবে টিস্যুগুলো জমে গিয়ে ফেটে যেতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে এগুলো কেটে ফেলতে হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শীতকালীন এই ঝড় শুক্রবার ‘বোম্ব সাইক্লোনের’ রূপ নিতে পারে। ঝড় দ্রুত পরিবর্তিত হয়ে বিস্ফোরক রূপ নিলে তাকে ‘বোম্ব সাইক্লোন’ বলে, এ ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে এর কেন্দ্রে বাতাসের চাপ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্ততপক্ষে ২৪ মিলিবারে নেমে যেতে পারে।
জেএন/পিআর