কদিন আগে শেষ হওয়া কাতার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত শুরু করেও শেষ আটে গিয়ে হতাশায় পুড়তে হয়েছে ব্রাজিলকে। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল আরেকবার ব্যর্থ হয়েছে হেক্সা জয়ের মিশনে। তবে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকারা। ফিফার নির্বাচিত সেরা দশ গোলের মধ্যে তিনটিই ছিল ব্রাজিলের, তার মধ্যে সবার সেরা হয়েছে সার্বিয়ার বিপক্ষে করা রিচার্লিসনের গোল।
বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর ১০টি গোলকে সেরার লড়াইয়ে মনোনীত করে ভক্তদের ভোটের জন্য উন্মুক্ত করেছিল ফিফা। সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের ভোটে রিচার্লিসনের বাইসাইকেল কিকের করা গোল সেরা নির্বাচিত হয়েছে। শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানায় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
লুসাইল স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই এমন ঝলক দেখান রিচার্লিসন। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রের বা পায়ের স্লাইড ধরে বক্সের ভেতরে প্রথমে টোকা মেরে বল উপরে তোলেন ব্রাজিলের নাম্বার নাইন। শরীরকে শূন্যে ঘুরিয়ে দারুণ অ্যাক্রোবেটিক শটে করেন চোখ ধাঁধানো গোল। সেই ম্যাচে রিচার্লিসন করেন আরেক গোল। ব্রাজিল জিতেছিল ২-০ গোলে।
সেরা দশ গোলের মধ্যে রিচার্লিসনের দেখার মতো আরেক গোলও ছিল। দ্বিতীয় রাউন্ডে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নান্দনিক মুহূর্ত উপহার দিয়েছিলেন তিনি। বক্সের বাইরে মাথা দিয়ে বল জাগলিং করে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকিয়ে দিয়ে তিনি পাস দেন থিয়াগো সিলভাকে। পাস দিয়ে ঢুকতে থাকেন কোরিয়ার বক্সে। সেই পাস পরে মার্কিনিউসকের পা ঘরে আসে তার কাছে। নিখুঁত প্লেসিং শটে খোঁজে নেন জাল।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে নেইমারের কয়েকজনকে কাটিয়ে করা গোলও ছিল সেরার তালিকায়। এছাড়া পোল্যান্ডের বিপক্ষে করা কিলিয়ান এমবাপের গোল, ইকুয়েডরের বিপক্ষে কোডি গাকপোর গোল ও মেক্সিকোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার এনজো ফার্নান্দেজের গোলও ভোটের জন্য ছিল উন্মুক্ত।
জেএন/এমআর