চীন ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করছে বাংলাদেশ। নতুন এ ধরন প্রতিরোধে দেশের সব বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্তি মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহেমদুল কবীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
নতুন এ উপধরনের উপসর্গ এবং এর চিকিৎসায় করণীয় নির্ধারণের জন্য দুই-একদিনের মধ্যে কারিগরি কমিটির মিটিং হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
ডা. আহেমদুল কবীর বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সব বন্দরে স্ক্রিনিংয়ে জোর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
যেসব দেশে করোনা সংক্রমণ বেশি সেসব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের সন্দেহ হলে করোনা টেস্ট করানো হবে বলে জানান তিনি।
দেশে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা এখনও সাত থেকে আট জনের মধ্যে থাকলেও ইতোমধ্যে আইইডিসিআরকে জিমোন সিকুয়েন্স চলমান রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডা. আহেমদুল কবীর। তিনি বলেন, ‘করোনার নতুন ধরনটি দেশে আসলে দ্রুত শনাক্ত সম্ভব হবে।’
সকলকে মাস্ক পরাসহ প্রাপ্তবয়স্কদের দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
তিনি জানান, হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, ডিএনসিসি হাসপাতালকে আরও বেশি সুসজ্জিত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দেশের সবকটি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেএন/এমআর