একদিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। অপরদিকে ‘নিরাপত্তার’ অজুহাতে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে নগরে গণপরিবহন সংকট চরমে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
শনিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবহন সংকট। নগরসহ জেলার বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহণ একপ্রকার বন্ধই রয়েছে।
ব্যক্তিগত গাড়িও তুলনামূলক কম। সিএনপি অটোরিকশাও অপ্রতুল।
বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের সামনে দেখা যায়, গণপরিবহণের অপেক্ষায় শত শত যাত্রী। গাড়িগুলোও দিচ্ছে মহড়া। টার্মিনাল থেকে বের হয়ে গাড়িগুলো মোড় ঘুরে আবার টার্মিনালে ফিরে যাচ্ছে। পুলিশও দর্শক, যাত্রীরাও দর্শক। যে দুই একটা গাড়ি নির্দিষ্ট রুটে যাচ্ছে, সেগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যাত্রীরা। এতেও বিপত্তি আন্দোলনকারীদের। তারা পথে পথে চেক পোস্ট বসিয়ে ‘ওভারলোড’ যাত্রী গাড়ি থেকে নামিয়ে নিচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান জয়নিউজকে বলেন, ওরাতো আমাদের সন্তান। আমাদের সন্তানদের আমরা দেখেশুনে রাখবো। তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। তারাতো জ্বালাও-পোড়াও কিংবা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে না।
আন্দোলনকারীদের মাঝে কিছু সুযোগ সন্ধানী আটক গাড়িগুলো টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এমন কিছু হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
জয়নিউজবিডি/আরসি