ঘড়ির কাঁটা বরাবরের মতোই সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। শনিবার রাত ১২টার কাটা পার হতেই পরিসমাপ্তি ঘটেছে ইংরেজী ২০২২ সালের। বদলে গেছে ক্যালেন্ডার। তবে ২০২২ বর্ষ বিদায়টা আর দশটা বছরের মতো নয়।
বিদায়ী বছরটি শুরু হয়েছিল একটু বুক ভরা আশার আলোর স্বপ্ন নিয়ে। ২০২২ সালের নতুন সূর্যকে স্বাগত জানানোর সময় বাংলাদেশ ছিল বেশ দৃঢ় অবস্থানেই।
বাংলাদেশসহ গোটা দুনিয়া গেলো বছরটি পার করেছে ব্যাপক চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে। ভীষণ কঠিন এক সময়ের সামনে দাঁড় করিয়েছে বিশ্বকে। তাই সবার একটাই প্রার্থনা নতুন বছরে স্বস্তি ফিরবে জনজীবনে।
করোনা কালের ক্রান্তিলগ্ন কাটিয়ে ২০২২ সাল ছিলো নতুন করে সব কিছু শুরু করার বছর। কিন্তু সেটি শুরু হতে না হতে গোটা বিশ্বে নতুন অভিশাপ হিসেবে আবির্ভুত হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। একে ঘিরে নেমে আসে জ্বালানি সংকট, নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যসহ অর্থনৈতিক মন্দা।
আগামী বছর করোনা মহামারি আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা পাশ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যায়ে তাই বিশ্ববাসী। ২০২৩ সালে অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও ইতিবাচকভাবে ভাবছেন দেশের সরকার প্রধানরা।
এমন সংকটময় সময়ের আশঙ্কা নিয়েই নতুন বছরের এই নতুন সূর্যকে গতকাল রাত ১২টা ১ মিনিটে স্বাগত জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। আজ রবিবার ভোরের পূর্বাকাশে দেখা গেল নতুন বছরের সূর্য। এসে গেল আরও একটা নতুন বছর। নতুন আশায় বুক বেঁধে নতুন করে পথ চলার ব্রত।
বিশ্বজুড়ে একটাই প্রার্থনা, সকল শঙ্কা উড়িয়ে ২০২৩ সালের এই নতুন সূর্যের আলোয় ঘুচে যাক দুর্ভিক্ষ মহামারির শঙ্কা, ঘুরে দাঁড়াক অর্থনীতির চাকা, আগের চেয়েও দুরন্ত দুর্বার গতিতে। তবে নতুন বছরজুড়ে শুধু উৎকণ্ঠাই নয়, আছে প্রাপ্তির সম্ভাবনা।
নতুন বছরের প্রত্যাশা থাকবে সারাবিশ্বের সার্বিক উন্নতি। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও অগ্রগতি। নতুন বছরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি মানুষের একটি মাত্রই চাওয়া- ‘বিশ্ব হোক প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মুক্ত, বন্ধ হোক যুদ্ধ, প্রাণঘাতী, হানাহানি।
যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভয়হীন প্রাণভরে নিশ্বাস নিক বিশ্বের প্রতিটি মানুষ। ’ তাই বিদায় ২০২২, স্বাগত ২০২৩ সাল।
জেএন/পিআর