আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এবার মেলার প্রবেশদ্বারে মেট্রোরেলের আদলে দুটি গেট তৈরি করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর মেলায় স্টলের সংখ্যাও বেড়েছে। দেশি-বিদেশি মিলে মেলায় ৩৫১টি স্টল রয়েছে। মেলায় ১০টি বিদেশি রাষ্ট্রের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
তথ্যমতে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলার কার্যক্রম চলবে। মেলায় ৩১৯টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুুলিশ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এ ছাড়া মেলায় বড় দুটি হল রুম, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন এবং শিশুদের জন্য আলাদা একটি মিনি পার্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শনিবার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব তথ্য জানান।
বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টার একটু দূরে হলেও মেলায় অংশ নেওয়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। মেলার মাধ্যমে আমরা দেশে তৈরি পণ্য দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাই। বাংলাদেশে তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরাই মেলার মূল লক্ষ্য বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পণ্যের মান বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিবছর রপ্তানি বাড়ছে। গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি বেশি ছিল। তিনি বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা দেশের অভ্যন্তরে ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কেবলমাত্র টাকার অংকে মুনাফা করার উদ্দেশ্য মেলার আয়োজন করা হয় না।
তিনি জানান, গতবছর মেলায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য রপ্তানির স্পট আদেশ পাওয়া গিয়েছিল। প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আরও ১০টি পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে আইসিটি খুবই সম্ভাবনাময় পণ্য, স্বল্পতম সময়ে এ খাতের রপ্তানি ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থেকে সরিয়ে গত বছর প্রথমবারের মতো পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়।
জেএন/পিআর