চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একযোগে শুরু হয়েছে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সকল অনুষদের প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা। সেশনজটমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) একযোগে চবি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নয়টি বিভাগের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে পরীক্ষা শুরু পর হল পরিদর্শন করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ, প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সভাপতি এবং পরীক্ষা কমিটির সভাপতিবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হলেও কোন কোন বিভাগ একযোগে পরীক্ষা শুরুর দিন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করতে পারেনি। সেই হিসেবে এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একযোগে কোন অনুষদের একক শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে মূলত একেক বিভাগ বছরের একেক সময় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কোন পরীক্ষা কোন সময়ে অনুষ্ঠিত হবে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর একাডেমিক কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ করে না। গত বছর সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন তাঁর অনুষদের সকল বিভাগীয় সভাপতিকে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার কথা জানালে সকল বিভাগ তাতে সাড়া দিলো। আর গত বছরের ধারাবাহিকতায় সেশনজন কমেছে বলে দাবী করছে চবি প্রশাসন। এতে খুশি হয়েছে পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থীরাও।
সেশনজট প্রায় শুণ্যের কোটায় উল্লেখ করে উপাচার্য জয়নিউজকে বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের প্রতিটি মুহুর্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের সময় যাতে কাজে লাগে সে জন্য বর্তমান প্রশাসন অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক। কোনভাবেই মূল্যবান সময় যেন নষ্ট না হয় সে জন্য প্রশাসন গৃহীত পদক্ষেপসমূহের সাথে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ছাত্রজীবনের পবিত্র দায়িত্ব সম্পর্কে সর্বোচ্চ আন্তরিক হতে হবে।
অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ বলেন, একই শিক্ষাবর্ষে ভিন্ন ভিন্ন বিভাগ আগে-পিছে পরীক্ষা নেওয়ার ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা চাকরীর ক্ষেত্রে বঞ্চিত হতো। কেউ সুযোগ বেশি ভোগ করছিল আবার কেউ বঞ্চিত হচ্ছিল। তাই সবাই যেন সমান সুযোগ পায় সেজনই এভাবে সম্মিলিত পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
জয়নিউজ/পার্থ