এঁরা এক মায়ের পেটের জমজ ভাই নন। নন কোন রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়। প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে একে অপরের বাড়ি। তারপরও তাঁদের চেহারা, গাঁয়ের রঙ ও শরীরের অবয়ব রয়েছে হুবহু মিল। দুইজনকে এক সাথে কেউ দেখলে পিলে চমকে যাবেন যে কেউ। বিভ্রান্ত হবে তাদেঁর দেখা চোখ।
একজন চন্দনাইশ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক পূর্বকোণ প্রতিনিধি এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন। আপরজন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার পটিয়া প্রতিনিধি মোঃ শাহজাহান চৌধুরী।
দৈনিক আজাদীর পটিয়া প্রতিনিধি শফিউল আজম বলেন, দেলোয়ার ও শাহজাহান ভাইকে এক সাথে দেখলে গোলকধাঁধায় পড়ে যাবে যে কেউ। তাঁরা একসাথে বসলে তাদেঁর চিনতে আমাদেরকেও হিমসিম খেতে হয়।
দৈনিক পূর্বকোণ প্রতিনিধি এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার বাড়ি চন্দনাইশে। অনেক সময় পটিয়া আসতে হয়। অনেকে ভুল করে আমাকে শাহজাহান ভাই মনে করে ওই নামে ডাকতে থাকেন।
তিনি বলেন, আল্লাহর কি ইচ্ছা আমরা সহোদর না হয়েও চেহারায় মিল, শরীরের রঙ, উচ্চতা, অবয়ব, বয়সের মিল রয়েছে। রয়েছে পেশায়ও মিল।
দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার পটিয়া প্রতিনিধি মোঃ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, একদিন পটিয়া থেক চন্দনাইশে গিয়েছি সংবাদ সংগ্রহের জন্য। দেলোয়ার ভাইয়ের এক বন্ধু আমার পিঠে থাপ্পর মেরে বলতে শুরু করলেন, দেলোয়ার কোথায় যাচ্ছিস। আমি নিজেকে শাহজাহান চৌধুরী পরিচয় দেওয়ার পরও সে বলতে লাগলো তুই আমার সাথে দুষ্টুমি করছিস। পরে তাঁকে বুঝিয়ে বলার পরে সে হেসেই খুন।
জেএন/এফও/এমআর