দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। পৌষের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। জেঁকে বসেছে শীত। সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারদিক।
পৌষের হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় কাবু সব বয়সের মানুষ। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। নাজুক অবস্থা খেটে খাওয়া মানুষের। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
উত্তরের জনপদে আরও আগে থেকেই বইছে হিমেল হাওয়া। সিলেট অঞ্চলে শ্রীমঙ্গলে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় শীতের তীব্রতা ছিল বেশ। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, তাপমাত্রার তুলনায় শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ উত্তরের হিমেল বাতাস।
মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহে নাকাল বিভাগীয় শহর রাজশাহীর মানুষ। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
লালমনিরহাটে চরম কষ্টে দুঃস্থরা। বেশি দুর্ভোগে তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী গ্রাম ও চরাঞ্চলবাসী। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে আছেন তারা। এ জেলার সর্বনিন্ম ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
কনকনে হিমেল বাতাসে কাঁপছে উত্তরের জেলা মেহেরপুর। সন্ধ্যার পর মানুষের বাইরে চলাচল কমে গেছে। কুয়াশার দাপটে ভোগান্তি বেড়েছে ছিন্নমুলদের।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিকুল নেওয়াজ কবীর জানান, রাজধানী ঢাকাসহ খুলনা ও রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার দূরত্ব কমে গেছে। ফলে এই তিন বিভাগে শীত আরও বেশি প্রকট হচ্ছে।
দেশজুড়ে হিমেল বাতাস বইতে পারে আরও কয়েক দিন। সেই সঙ্গে আজ দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবারের তুলনায় ঢাকায় সর্বনিম্ন ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ তরিকুল নেওয়াজ বলেন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রার দূরত্ব যত কমবে, শীতও ততই প্রকট হবে। আপাতত ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীতে প্রতিদিনই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দূরত্ব কমছে।
জেএন/পিআর