চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় দেশের প্রথম বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কোরিয়ান ইপিজেডে (কেইপিজেড) পুরোদমে কাজ করছে বিখ্যাত জার্মান আউটডোর স্পোর্টসওয়্যার কোম্পানি স্ট্রাস। প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের ২৪ অক্টোবর কেইপিজেডের ভেতর আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের নকশা উন্নয়ন কেন্দ্র (স্ট্রাস সিআই ফ্যাক্টরি) খুলেছিল। বর্তমানে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে সেলস এবং মার্কেটিং পর্যন্ত চট্টগ্রামের প্রায় ২০০ জন সেখানে কর্মরত আছেন।
গতকাল (শনিবার) ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার এবং দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন কেইপিজেডে গিয়ে স্ট্রাস এর কারখানাসহ অন্যান্য কারখানা এবং এলাকাটি পরিদর্শন করেন।
এরপর এক প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত লি বলেন, “নতুন নতুন কারখানা যোগ, আইসিটি জোন স্থাপন, নকশা উন্নয়ন কেন্দ্র খোলা, ছাদে স্থাপিত দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন এবং বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে কেইপিজেড সংশ্লিষ্ট এলাকার উন্নয়নে ধারাবাহিক অগ্রগতি দেখিয়ে যাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, কেইপিজেড সফলভাবে ২২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ছাদে স্থাপিত দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন এবং পরিচালনা করছে, যা ওই ইপিজেডের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট এবং দেশের জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের সাথে যুক্ত। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে রাষ্ট্রদূত লি ২০২১ সালের ২০ জুন সেটি উদ্বোধন করেছিলেন।
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, কেইপিজেডের আইসিটি জোন পরিকল্পনা অনুযায়ী ভালোভাবেই চলছে। গত বছরের এপ্রিলে দুটি কারখানা ভবন নির্মাণের শেষ পর্যায়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে এক অভিনব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই আইসিটি জোনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল।
উল্লেখ্য, কেইপিজেড হল দেশের একমাত্র ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ইপিজেড। বাংলাদেশ বেসরকারি ইপিজেড আইনের অধীনে ১৯৯৬ সালে কোরিয়ান কোম্পানি ইয়াংওয়ান কর্পোরেশন এটি স্থাপন করেছিল।
এটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রথম এবং বৃহত্তম বিদেশী বিনিয়োগকারী। বর্তমানে সেখানে ৪৩ টি কারখানায় ২২ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ করছেন। এর পাশাপাশি আরো ৮টি কারখানা নির্মাণাধীন রয়েছে।
জেএন/এফও/এমআর