এনামুল হক জজ মিয়া। ময়মনসিংহের গফরগাঁও আসন থেকে নির্বাচিত দুইবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। বাড়ি-ভিটা যা ছিল সবই স্ত্রী-সন্তানদের নামে লিখে দিয়ে নিঃস্ব হন তিনি। ঠাঁই হয় সরকারের দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে।
বুধবার ভোরে উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামে সেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
সালটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হক ঢালী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক জজ মিয়া। ভোরে তিনি মারা গেছেন।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের পালিত মেয়ে নাজুকে ১৯৭২ সালে বিয়ে করেন এনামুল হক জজ। পরে ১৯৮৩ ও ১৯৮৬ সালে ময়মনসিংহ-১০ গফরগাঁও আসন থেকে জাতীয় পার্টির হয়ে দু’বার সংসদ সদস্য হন তিনি।
এনামুল হক জজ মিয়া তিনটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী নাজু এক মেয়েকে নিয়ে আমেরিকায় থাকেন। দ্বিতীয় স্ত্রী নাছিমা হক ঢাকার পুরানা পল্টন ও মিরপুর কাজী পাড়ায় দুই সন্তান নিয়ে দুটি বাড়িতে থাকেন।
গফরগাঁও পৌর শহর ও ঢাকায় বিলাসবহুল বাড়ি ছিল জজের। সহায় সম্পদ যা ছিল, সবই তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে লিখে দিয়েছিলেন।
পরে আরও একটি বিয়ে করেন জজ। এই সংসারে আছে ১০ বছরের সন্তান নুরে এলাহী। আগের দুই সংসারের সন্তানরা প্রাচুর্য দেখলেও নুরে এলাহী দেখেছে দারিদ্র্য।
সর্বশেষ গফরগাঁও পৌর শহরে ১২ শতাংশ জমি মসজিদের নামে লিখে দিয়ে গৃহহীন হয়ে যান জজ মিয়া। তখন থেকে এক কক্ষের ভাড়া বাসায় থাকেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে। খাট কেনার সামর্থ্য না থাকায় মেঝেতেই ঘুমাতেন।
এ খবরটি নানাভাবে জানতে পারেন এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল। আর তিনিই স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরটি উপহার দেন।
জেএন/এমআর