আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশে সংকট চলছে। বিপদে আছি আমরা। তবে আমরা সংকট থেকে সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছি। এখন বড় বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করা হচ্ছে না। কেননা আগে জনগণকে বাঁচাতে হবে। জনগণ বাঁচলে অর্থনীতি বাঁচবে। আর অর্থনীতি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। কঠিন চ্যালেঞ্জ। একদিকে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা। আইএমএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সারা বিশ্ব দ্রুত মহামন্দার দিকে ধাবমান। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ইউরোপসহ সব দেশে। বাংলাদেশে রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মতো। এটা স্থিতিশীল কন্ডিশন। দেশে ৫ মাস আমদানি করার মতো রিজার্ভ আছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশের জাতীয় অর্থনীতির সমৃদ্ধির স্বার্থে চট্টগ্রাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’। এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল। ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। একসময় কেউ ভাবেনি বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সাংহাইয়ে শহরে রূপ নিবে। আমি আশাবাদী, চট্টগ্রাম আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে। চট্টগ্রাম হবে ওয়ান সিটি টু টাউন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাকিস্তান ছাড়া আর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই। কোথাও তত্ত্বাবধায়কের চর্চা নেই। গণতন্ত্র এত দিন ধরে চলছে আমাদের দেশে। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান। এটি বিকাশমান পর্যায়ে আছে এবং এই বিকাশমান গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে ভুলত্রুটি সংশোধন করতে পারবে। বিকাশের ধারায় গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। সেখানে সরকার সম্পর্কে নানা সমালোচনা, কথাবার্তা ওঠে। সোমালিয়ার মতো দেশে মানুষ মরছে। সেখানেও সরকার পতনের দাবি তোলে না। আমাদের দেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্ভট দাবি তোলা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর এ দেশে গণতন্ত্র ছিলই না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। শেখ হাসিনা ছিলেন বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো দুঃসাহসিক কাজটি তিনি করাতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে।’
চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সমীক্ষাকাজ শেষ পর্যায়ে বলেও তিনি জানান। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা সভাপতি এম এ সালাম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
জেএন/এফও/এমআর