বিপিএলে নিজেদের মাঠে প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক দর্শকদের হতাশা উপহার দিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল সহজেই হারালো শুভাগতহোমের দলকে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২৬ রানে হারিয়েছে বরিশাল। তিন ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়, অন্যদিকে সমান ম্যাচে দ্বিতীয় হার চট্টগ্রামের।
২০৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উড়ন্ত সূচনাই করেছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পাকিস্তানি ওপেনার উসমান খান। ৫ ওভারে ৪৮ রান তোলে দলটি।
কিন্তু ১৯ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৬ রান করা উসমানকে পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি তুলে নিলে খেই হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। ২৯ বলে ২৯ করে সাকিবের শিকার হন আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ।
এরপর ভারতীয় উম্মুক্ত চাঁদ ২১ বলে ১৬ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে দলকে আরও বিপদে ফেলে যান। ধীরে ধীরে রান তাড়া থেকে ছিটকে পড়ে চট্টগ্রাম।
আফিফ হোসেনের ২১ বলে ২৮ আর শেষদিকে জিয়াউর রহমানের ২৫ বলে ৩ চার আর ৪ ছক্কায় গড়া ৪৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে কেবল পরাজয়ের ব্যবধানটাই যা একটু কমেছে চট্টগ্রামের। ৪ উইকেটে ১৭৬ রানে থামে স্বাগতিকরা।
এর আগে ইফতিখার আহমেদের টর্নেডো এক ইনিংসে ভর করে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল গড়েছিল ৭ উইকেটে ২০২ রানের পাহাড়।
ইফতিখার ২৬ বলেই খেলেন হার না মানা ৫৭ রানের ইনিংস। যে ইনিংসে ৩টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা হাঁকান পাকিস্তানি এই ব্যাটার।
চট্টগ্রামপর্বে এসে ওপেনিং জুটিতে চমক দেখালো ফরচুন বরিশাল। আজ টস হেরে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ব্যাটিং পায় সাকিব আল হাসানের দল।
এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে এবারের আসরে প্রথমবারের মতো ওপেন করতে দেখা যায় মেহেদি হাসান মিরাজকে। জুয়াটা ভালো কাজে দিয়েছে।
৩ ওভারের ওপেনিং জুটিতে ৩৩ রান তুলে দিয়ে গেছেন মিরাজ। ১২ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় দুইশ স্ট্রাইকরেটে ২৪ করে তাইজুল ইসলামের শিকার হন এই অলরাউন্ডার। এরপর সাকিব আল হাসান ৩ বলে ৮ করে বোল্ড হন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে।
২১ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩০ করে বিশ্বনাথের শিকার হয়েছেন এনামুল হক বিজয়। তারপরও ১১ ওভার হওয়ার আগেই ১০০ রান ছুঁয়ে ফেলে বরিশাল।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন। তবে ১৭ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ রানে পৌঁছে যাওয়ার পর অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে আটকান জিয়াউর রহমান।
এরপর হাত খুলেন ইব্রাহিম জাদরান। আফগান এই ব্যাটার ৩৩ বলে ৪ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৮ রান করে আবু জায়েদকে উইকেট দেন।
চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে খরুচে ছিলেন সবাই। সবচেয়ে সফল বোলার আবু জায়েদ ৩টি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দেন ৪৮ রান।
জেএন/এমআর