তথ্য গোপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রপার্টি ক্রয় করা ৪৫৯ বাংলাদেশির বিষয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ চার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক আবেদনের শুনানি করে রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট যে চার সংস্থাকে অনুসন্ধান চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন সেগুলো হলো—দুদক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
চারটি সংস্থাকে অনুসন্ধান করে এক মাসের মধ্যে অগ্রগতি জানাতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে দুবাইয়ে ৪৫৯ জনের সম্পত্তি কেনার অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলও জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয় করা এই বাংলাদেশি ব্যক্তিরা কারা তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।
পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৫৯ বাংলাদেশির মালিকানায় থাকা মোট ৯৭২টি প্রপার্টির কাগজে-কলমে মূল্য হতে পারে সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ আরো অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তরিত হচ্ছে দুবাইয়ে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলে-ফেঁপে উঠছে দুবাইয়ের আর্থিক, ভূসম্পত্তি, আবাসনসহ (রিয়েল এস্টেট) বিভিন্ন খাত।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সিএডিএস) সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি।
বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতার মধ্যেও দুবাইয়ে রিয়েল এস্টেট খাতের বিদেশি প্রপার্টি ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশিরা ছিল শীর্ষে। আরব আমিরাতের স্থানীয় ভূমি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, করোনাকালে দুবাইয়ে বাংলাদেশি ধনীরাই সবচেয়ে বেশি প্রপার্টি কিনেছেন। এমনকি নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, চীন ও জার্মানির মতো দেশগুলোর ধনী নাগরিকদেরও তারা পেছনে ফেলে দিয়েছে।
জেএন/এমআর