আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) রাত সাড়ে আটটা থেকে রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে থেকে শাহ আমানত ও শাহজালাল হলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিবাদমান দুপক্ষের একটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী সিক্সটি নাইন ও ভিএক্স। অন্যটি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)। সংঘর্ষে উভয় পক্ষকে দেশীয় অস্ত্র হাতে দেখা যায়। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বান্ধবীর সাথে বসে থাকার সময় সিক্সটি নাইনের এক কর্মীকে মারধর করে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। সেই ঘটনার জের ধরে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে হামলা চালায়। এতেই বেঁধে যায় সংঘর্ষ। ভিএক্স ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা অবস্থান নেয় সোহরাওয়ার্দী এবং শাহ জালাল হলের সামনে। অন্যদিকে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা অবস্থান নেয় শাহ আমানত হলের সামনে।
জানা যায়, এর আগে বুধবারও (৩১ অক্টোবর) গ্রুপ দুটির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতে উভয় পক্ষকে ডেকে মীমাংসাও করে প্রশাসন। সেই ঘটনার জের ধরেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে রাতভর দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও একে অপরের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিবাদমান গ্রুপ দুটি। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত দশজন নেতা-কর্মী আহত হয়।
সংঘর্ষে সিএফসি গ্রুপের ৮ জন, ভিএক্স গ্রুপের ১ ও সিক্সটিনাইন গ্রুপের ১ জন আহত হয়েছে। সিএফসি গ্রুপের আহতরা হলেন প্রথম বর্ষের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের শুভ, একই বর্ষের ফয়সাল আলম, ২য় বর্ষের সংস্কৃতি বিভাগের অমিত, ইংরেজি বিভাগের মোহাম্মদ আরিফ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের নিশান, ৩য় বর্ষের সমাজতত্ত্ব বিভাগের আল আমিন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাব্বির।
অন্যদিকে ভিএক্স গ্রুপের আহতের নাম রনি। তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র। আর শফিকুল ইসলাম শাওন নামে পদার্থবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের একজন কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আল আমিন এবং আরিফকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের ব্যাপারে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মনসুর আলম জয়নিউজকে বলেন, নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীরা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
জয়নিউজ/জুলফিকার