কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘অদ্ভুত’ সব পোস্ট করছিলেন বিতর্কিত লেখক তসলিমা নাসরিন। কখনো মরনোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করার কথা আবার কখনো বা তার মৃত্যু হয়েছে এমন সব কথা লিখছিলেন।
তবে এবার হাসপাতালে থাকার একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। তবে কি কারণে হাসপাতালে তসলিমা তা জানা যায়নি। তার এবারের পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতাল বেডে শুয়ে আছেন তিনি। তাকে ঘিরে আছেন পাঁচজন তবে তাদের কাউকেই চিকিৎসকের পোশাকে দেখা যায়নি। দেখে মনে হচ্ছে শুভাকাংঙ্ক্ষী হবেন।
এই ছবি পোস্ট করার আগে তসলিমা আরেকটি ফেসবুক পোস্ট করেন। যেখানে কিছু নথির ছবি শেয়ার করা হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালে দিল্লির এমসে তিনি মরনোত্তর দেহ দান করেছেন।
একাধিক নথির একটিতে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই যেন হাসপাতালে খবর দেওয়া হয়। কারণ তাঁর দেহ দান করা হয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি তসলিমা তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘৮০ কিলো থেকে চেষ্টা চরিত্তির করে ৮ মাসে হয়েছিলাম ৫২ কিলো।
৫২র হাড় সর্বস্ব শরীর দেখে ভয়ে পিছু হটতে শুরু করলাম। ২ মাসে তড়িঘড়ি ওজন বাড়িয়ে করলাম ৫৬.৫ কিলো। এখানেই থেমে থাকুক চাইছি। ’ এই পোস্ট থেকে স্পষ্ট, তসলিমা ওজন কমাচ্ছিলেন।
তবে সবচেয়ে বিভ্রান্তি বাড়িয়েছে গত ১৪ জানুয়ারি, দুপুর দেড়টা নাগাদ করা তসলিমার পোস্টটি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘গতকাল ঠিক এই সময় মৃত্যু হয়েছে আমার। এখন ফিউনারেল (শেষকৃত্য) চলছে। ’ এর পর ১৫ জানুয়ারি, সকাল ৬টা ১১ মিনিটে লিখছেন, ‘আমার মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করা হয়েছে।
রবিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তিনি একাধিক নথি পোস্ট করেছেন। যার একটি ‘বডি ডোনার পকেট কার্ড’। তার মিনিট দশেক পরেই তসলিমা হাসপাতালে থাকার ছবি পোস্ট করেছেন।
এই ছবির মন্তব্যে অনেকে লিখেছেন, দ্রুত ওজন কমিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া মানার কারণেই কি অসুস্থ হয়ে পড়লেন লেখিকা? তবে তসলিমা তো বটেই, তাঁর ঘনিষ্ঠদের সূত্রেও রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি, কী হয়েছে লেখিকার!
জেএন/পিআর