সংসার জীবনে স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে মোঃ জামিনের (২৪) বনিবনা হচ্ছিল না। তাই প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এছাড়া স্ত্রীকে সন্দেহ করতো নানা কারণে। যার কারণে ভায়রাকে নিয়ে স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করেন জামিন। ১৪ জানুয়ারি খুনের মিশন বাস্তবায়ন করেন দুইজন মিলে খুনের মিশন বাস্তবায়ন করেন। নগরের হালিশহরে রাবেয়া খাতুন খুনের ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি রাবেয়ার স্বামী মো. জামিন (২৪) এবং ভায়রা মো. মোস্তফাকে (২২) গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আল মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার মো. জামিন কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার দক্ষিণ হাটি করপাশা গ্রামের শাহ আমিনের ছেলে এবং মোস্তফা একই এলাকার দামপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। দুজনই হালিশহর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
মোহাম্মদ আল মামুন জানান, রাবেয়া খাতুনের প্রথম সংসারে দুই মেয়ে রয়েছে। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর বছরখানেক আগে আসামি জামিনের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো।
রাবেয়া হালিশহর থানাধীন বি ব্লকের জনৈক হান্নানের মালিকানাধীন মিডওয়ে অ্যাপারেলস নামে ছোট গার্মেন্টেসে চাকুরি করত। তার স্বামী জামিন প্রতিনিয়ত সন্দেহ করায় গত ২ মাস আগে সে চাকুরি ছেড়ে দেয়। রাবেয়া সংসারের স্বচ্ছলতার জন্য তার বাবার চায়ের দোকানের পাশে রাস্তায় পিঠা বিক্রি করতো। যা মোঃ জামিন পছন্দ করতো না। গত ১০ জানুয়ারি এনজিও হতে লোন উত্তোলন করার জন্য একটি ফরমে রাবেয়ার স্বাক্ষর দিতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। এতে জামিন রাবেয়ার সাথে তর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে আসামি জামিন ভায়রা মোস্তফাকে নিয়ে রাবেয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় গিয়ে দুজন মিলে রাবেয়ার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করেন। পরে রাবেয়াকে তার বাবা উদ্ধার করে পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর দুজনই পালিয়ে যান।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার প্রথমে জামিনকে এবং পরে তার স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।
জেএন/এফও/এমআর