চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর এলাকায় রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ফেরদৌস প্লাজা নামের একটি চার তলা ভবন হেলে পড়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের। আশপাশের একতলা কয়েকটি ভবনের দেওয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে।
আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালের এ ঘটনা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ষোলশহর চশমা খালে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। খালের প্রতিরোধ দেওয়াল নির্মাণে চার মিটার গভীর করে লোহার পাটাতন পোঁতা হয়েছে। খালের সঙ্গে লাগোয়া চারতলা ভবন ফেরদৌস প্লাজা। খাল সম্প্রসারণের জন্য ভবনটির একাংশ আগেই ভাঙা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে অন্য অংশটিও খালের দিকে হেলে পড়ে।
ভবনটির নিচতলায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, দ্বিতীয় তলায় দাঁতের চিকিৎসকের চেম্বার, তৃতীয় তলায় একটি আইটি ফার্ম ও চতুর্থ তলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠনের কার্যালয়। আজ সকালে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে লোকজনকে সরিয়ে নেয়। আসবারপত্র ও জিনিসপত্র ভবন থেকে সরিয়ে নেয়।
ভবনের মালিক বাপ্পি আহাম্মেদ জয় নিউজকে বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক ভবন। ১৯৮৬ সালে নকশা অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। সোয়া দুই কাঠার ওপর চারতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৯০ সালে।
তিনি বলেন, খালের প্রতিরোধ দেওয়াল নির্মাণে চার মিটার গভীর করে লোহার পাটাতন পোঁতা হয়েছে। যার কারণে ভবনটি হেলে পড়ে।
ভবনটির নিচতলায় শেখ ফরিদ মোটর ড্রাইভিং স্কুলের মালিক শহীদুল ইসলাম বলেন, ভবনটি হেলে পড়ার পর আজ সকালে আমরা খবর পেয়ে মালামাল সরিয়ে নিয়েছি।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রন কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে করণীয় ঠিক করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিডিএর অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান বলেন,’ সিডিএর লোকজনকে ঘটনাস্থলে রয়েছে।
জেএন/এফও/এমআর