নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন (৪২) পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগামী মাসেই পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) জেসিন্ডা নিজেই তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি জানান।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লেবার পার্টির এ নেতৃ এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। আর ১৪ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জেসিন্ডা সাংবাদিকদের বলেন, গ্রীষ্মের ছুটিতে সবকিছু নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেছি। ভেবেছিলাম, এ সময়ের মধ্যে আমার যা যা প্রয়োজন, তা খুঁজে পাবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পাইনি ও এমন পরিস্থিতিতে যদি আমি দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখি, তাহলে তা দেশের জন্য ভালো হবে না।
মতামত জরিপ অনুসারে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জেসিন্ডার অভ্যন্তরীণ জনপ্রিয়তার পতন হয়েছে। কিন্তু তার দাবি, আগামী নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করতে পারবেন না, এমন শঙ্কা তার মধ্যে কাজ করছে না। তাছাড়া এ ধরনের চিন্তা-ভাবনার কারণে তিনি তিনি পদত্যাগ করছেন না।
তিনি আরও বলেন, আমি মানুষ, রাজনীতিবিদরাও মানুষ। আমরা যতক্ষণ পারি ততক্ষণ আমরা কাজ করতে পারি। তবে এখন আমার সরে যাওয়ার সময় এসেছে।
২০২০ সালে দেশটির ৫৩তম জাতীয় নির্বাচনে ন্যাশনাল পার্টির প্রধান কলিন্সকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন জেসিন্ডা আরডার্ন। ৩৭ বছর বয়সে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী সরকার প্রধান হওয়ার মাইলফলক অর্জন করেন তিনি।
তিনি করোনা মহামারি, ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলা ও হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের বিপরীতে সফল ব্যবস্থাপনার কারণেই দ্বিতীয় মেয়াদে জয় পান জেসিন্ডা।
জেএন/এমআর